বিশ্বকাপের দারুণ দৌঁড়ে তিলক ভার্মা

মাসখানেক পরেই বেজে উঠবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দামামা, বরাবরের মতই হট ফেভারিট হিসেবে অংশ নিতে যাচ্ছে ভারত। তাই তাঁদের বিশ্বকাপ স্কোয়াড নিয়ে আলোচনা একটু বেশিই হচ্ছে। সেসব আলোচনায় অবশ্য তিলক ভার্মার নাম শোনা যায় না তেমন একটা, কিন্তু নীরবে নিভৃতে ঠিকই স্কোয়াডে জায়গা পাওয়ার বড় দাবিদার হয়ে উঠেছেন তিনি।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চলতি আসরে কেমন পারফরম করছেন সেটার উপর নির্ভর করে বিশ্বকাপের টিকিট। আর এই টুর্নামেন্টে দারুণ ধারাবাহিক হয়ে উঠেছে তাঁর ব্যাট। এমনকি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মিডল অর্ডারের ভরসা বলা যায় তাঁকে।

সবশেষ দিল্লী ক্যাপিটালসের বিপক্ষে নিজের মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন এই ব্যাটার; খেলেছেন ৩২ বলে ৬৩।রানের ইনিংস। সমান চারটি চার এবং ছয়ের সাহায্যে সাজানো ইনিংসটিতে তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল প্রায় ২০০। এমন ব্যাটিংয়ের কল্যাণেই পাহাড়সম টার্গেটের বিপরীতে লড়াই করতে পেরেছে মুম্বাই, যদিও শেষমেশ জিততে পারেনি তাঁরা; ১০ রানের রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে দিল্লী।

তবে, তিলকের বীরত্ব তাতে ম্লান হয় না; এদিন চাপের মুখে বাইশ গজে এসে যেভাবে দলকে খেলায় ফিরিয়েছেন সেটি সত্যিই প্রশংসনীয়। শুরুর দিকে বুঝেশুনে খেললেও সময় গড়াতেই কাউন্টার অ্যাটাকের পথ বেছে নিয়েছিলেন তিনি। তিন বলের ব্যবধানে হার্দিক পান্ডিয়া আর নেহাল ওয়াধেরা ফিরে গেলে আবারো বিপর্যয় নেমে আসে, কিন্তু তাঁর আগ্রাসী মানসিকতায় কোন বদল আসেনি।

কুলদীপ যাদবের এক ওভার থেকে বিশ রান আদায় করে ম্যাচের গতিপথ অবশ্য বদলে দিয়েছেন এই বাঁ-হাতি। তাঁর ব্যাটে ভর করে পাঞ্জাব কিংসের মতই সেসময় অবিশ্বাস্য জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল রোহিতরা। যদিও শেষপর্যন্ত সফল হতে পারেননি তিনি; ট্রাজিক হিরো হয়েই থাকতে হয়েছে তাঁকে।

ভারতের মিডল অর্ডারে সুযোগ পাওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন ঋষাভ পান্ত, শিভাম দুবে, রিংকু সিং। তবে আইপিএলের ফর্ম বিবেচনায় মুম্বাইয়ের তারকাকে পাশে সরিয়ে রাখাটা কঠিন হবে নির্বাচকদের জন্য; সেই কঠিন কাজটা আরো কঠিন করার জন্য আগামী ম্যাচগুলোতে নিশ্চয়ই আরো ভাল পারফরম করতে চাইবেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link