বিশ্ব মঞ্চে এ যেন এক ভিন্ন বিরাট কোহলি। রান থেকে তাঁর দূরত্ব বেড়েই চলেছে। বিষয়টি নজর এড়ায়নি ভারতীয় ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকারের। তাইতো তিনি কোহলির চেয়ে জাসপ্রিত বুমরাহকেই সেরার তকমা দিয়ে মন্তব্য করে বসলেন।
সেই ২০০৮ সাল থেকে শুরু হয়েছে কোহলির বর্ণিল ক্যারিয়ার। সেখানে অন্যতম প্রধান সমালোচকের ভূমিকা পালন করছেন ভারতের এই প্রখ্যাত ধারাভাষ্যকার। ভারতের সর্বশেষ ম্যাচে বুমরাহর রঙিন পারফর্ম্যান্সের বিপরীতে কোহলির মলিন পারফর্ম্যান্স সঞ্জয়কে যেন আরও সুবিধাই করে দিল।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৪ রানের বিনিময়ে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন বুমরাহ, অপরদিকে, কোহলির ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৪ রান। যেখানে ক্রিকেট প্রেমীরা প্রত্যাশার পাহাড় গড়েছিল কোহলিকে ঘিরেই। এক্ষেত্রে কোহলি আগের ম্যাচের মত হতাশই করেছে সমর্থকদের।
২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকে তেমন সুবিধা করতে পারেননি বিরাট কোহলি। আর তখন সঞ্জয়ের পরামর্শ ছিল, কোহলিকে একটা সুযোগ দিয়ে বাদ দেয়া। ২০১২ সালেও কোহলি সেরা পারফর্ম্যান্সের পথ খুঁজতে ব্যস্ত ছিলেন।
তবে তাঁর পর থেকে অসংখ্যবার সঞ্জয় মাঞ্জরেকারকে ভুল প্রমাণ করেছেন ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় বিরাট কোহলি। যার প্রমাণ, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সর্বশেষ আসর, যেখানে তিনি ছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার শীর্ষে।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসরে যেন খেই হারিয়েছন কোহলি। আর এই সুযোগে আবারও বিরাট কোহলিকে মন্তব্য করে বসলেন সঞ্জয়। কোহলির প্রতি গণমাধ্যমের অতিরিক্ত আবেগ রয়েছে বলে মনে করেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার। আর তাঁর এই মন্তব্য মূলত বিতর্কের আগুনে ঘি ঢেলে দেয়।
বিশ্ব মঞ্চে দল জয়ের দেখা পেলেও, ভারতের ডান-হাতি এই ব্যাটার পাচ্ছেন না নিজের সেরা ফর্মের দেখা। তবে নামটা যে বিরাট কোহলি। ফর্মে ফেরা তাঁর জন্য অতি জরুরী। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে আগামী ম্যাচে নিজের চেনা ফর্মে ফিরতেই হবে বিরাট কোহলিকে। তবেই সমালোচনার দুয়ার বন্ধ হবে তাঁর।