মাত্র মাস তিনেক আগেই অফ ফর্মের কারণে অজি একাদশ থেকে বাদ পড়তে হয়েছিলো ট্রাভিস হেডকে। সেই হেডই কিনা হয়ে গেলেন ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে সেঞ্চুরি হাঁকানো প্রথম ব্যাটার।
৭৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফাইনালে অজিরা যখন ধুঁকছে তখন পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ভারতীয় বোলারদের ওপর চড়াও হন হেড। তুলে নেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। হেডের এমন আগ্রাসী ইংনিস দ্বিতীয় দিন শেষেই ফাইনাল জয়ের স্বপ্ন দেখছে অজিরা।
ভারতের মাটিতে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির নাগপুর টেস্টে একাদশ থেকে বাদ পড়েন হেড। সেই ম্যাচে রীতিমতো নাস্তানাবুদ হয় অজিরা। সেখান থেকে এখন দুর্দান্ত ফর্মে আছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। হেডের মাত্র ১৭৪ বলে ১৬৩ রানের দারুণ এক ইনিংসে প্রথম ইনিংস শেষেই চালকের আসনে বসেছে অজিরা।
নাগপুর টেস্টে একাদশ থেকে বাদ পড়াটা হেডের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে এসেছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে হেড বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে বাদ পড়াটা আমাকে খুব বেশি বিচলিত করে না। আমি যেখানে আছি সেখানে থাকাটাকে এবং যা করতে পারছি সেটাকে আমি অনেক সৌভাগ্যের মনে করি। আমাদের দারুণ শক্তিশালী একটি স্কোয়াড আছে। তাই দলে থাকা-না থাকাটা সবসময় আমার পক্ষে নাও যেতে পারে।’
হেড আরো বলেন, ‘দলে থাকা না থাকাটা আমার হাতে নেই। যেটা আমি করতে পারি তা হলো মাঠে এবং মাঠের বাইরে যতটুক সম্ভব ধারাবাহিক হওয়া এবং উপভোগ করা। আশা করি ভবিষ্যতে আমাকে খুব বেশি বাদ পড়তে হবে না।’
অস্ট্রেলিয়ার মত দলে থাকলে দল থেকে বাদ পড়তে হবে সেটা জানেন হেড। ফাইনালে দারুণ এক সেঞ্চুরি করার পরেও তাই তিনি জানেন তার কাজ এখনই শেষ না। হেড পারফর্ম করে যেতে চান নিয়মিত।
হেড বলেন, ‘অবশ্যই প্রতিটি টেস্টই আমি খেলতে চাই কিন্তু সবসময় এটা নাও হতে পারে। এখনকার মুহূর্তকে উপভোগ করার জন্য ওই বাদ পড়ার মুহুর্ত গুলো ভালো কাজে দেয় । আমি চাই ভবিষ্যতে দল থেকে বাদ না পড়ি কিন্তু নিশ্চিতভাবেই সেটি হবেই। বাদ পড়া আমাকে আলাদা ভাবে কোনো অনুপ্রেরণা দেয় না। আমি জানি অনেক সিদ্ধান্তই এর আগে আমার পক্ষে যায় নি। তবে আমার মনে হয় এই দলটাকে আমার আরো কিছু দেবার আছে। ‘