সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ দল। এই সিরিজকে ঘিরে হয়তো খুব বেশি আগ্রহ নেই অনেকের, কিন্তু একটা আগ্রহ জাগানিয়া ব্যাপার ঠিকই আছে এখানে। বাংলাদেশ বনাম যুক্তরাষ্ট্র সিরিজে দায়িত্ব পালন করবেন সামির বান্দেকার – যাদের কাছে নামটা চেনা তাঁরা নিশ্চয়ই নড়েচড়ে বসেছেন, আর যারা চেনেন না তাঁদের একটা প্রশ্ন করি আগে।
কেমন লাগবে যদি আপনি শোনেন ম্যাচের মাঝখানে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন আম্পায়ার। নির্ঘাত আপনি ভাববেন পাগলের প্রলাপ, কিন্তু এটি আসলেই সত্যি! তবে জোর জবরদস্তি করে মাঠ থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়নি বরং স্বেচ্ছায় হারিয়ে গিয়েছিলেন দায়িত্বরত দুই আম্পায়ার।
অদ্ভুত এই ঘটনাই ঘটেছে সামির বান্দেকারের জীবনে। ১৯৯৭ সালে নারীদের ওয়ানডে ম্যাচ পরিচালনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন তিনি। পাঁচ বছর পর গুয়াহাটিতে ভারত-জিম্বাবুয়ে ওয়ানডে ম্যাচে অন-ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সেবারই ছেলেদের ক্রিকেটে আম্পায়ার হিসেবে অভিষেক হয় তাঁর। এছাড়া ভারতের মাটিতে তিনটি টেস্ট ম্যাচে টিভি আম্পায়ার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে তাঁকে। তবে এই ভারতীয় আম্পায়ার অঘটনের জন্ম দিয়েছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে।
ডিসেম্বর ২০০৬ সাল, রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দিল্লী এবং উত্তর প্রদেশ। ম্যাচের শেষ দিনের খেলা বাকি, ফলাফল ড্র হবে সেটা অবশ্য আগেই নিশ্চিত ছিল। কিন্তু শেষ দিন ফলাফল ছাপিয়ে শিরোনাম হলো অন্য কিছু।
সেদিন সকালে দুই আম্পায়ার কুয়াশার জন্য ম্যাচ স্থগিত রাখেন। যদিও ঘন্টাখানেক পর আলো ফুটে উঠে, দুই দল প্রস্তুতি নেয় মাঠে নামার। অথচ আশ্চর্যের ব্যাপার, ম্যাচ রেফারি ব্যানার্জি ও সামির মাঠে ছিলেন না। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁদের পাওয়া যায়নি।
শেষমেশ ১২ টার দিকে মাঠে ফিরে আসেন ম্যাচ রেফারি ব্যানার্জি এবং আম্পায়ার সামির। মাঠে ফিরেই তাঁরা লাঞ্চের ঘোষণা দিয়ে দেন।কিন্তু, মাঝের সময়টাতে কি হয়েছে সেটা তখন জানা যায়নি। তবে ভারতের একটি পত্রিকার অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ম্যাচের দিন খানিকটা দূরে পাঞ্জাব এবং বেঙ্গল অনূর্ধ্ব-২২ দলের খেলা চলছিল। ব্যানার্জি সাহেব বাঙালি হওয়ায় ওনার আগ্রহ ছিল ম্যাচটা দেখার৷ তাই সামির বান্দেকারকে নিয়ে চলে গিয়েছিলেন সেই ম্যাচ দেখতে। সেখানে যখন লাঞ্চ দেওয়া হয় তখন তাঁরা ফিরে এসেছিলেন।