আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করেন রোহিত-বিরাটরা

চলতি অ্যাশেজে আম্পায়ারের দায়িত্ব পেয়েছেন আইসিসির একমাত্র ভারতীয় এলিট প্যানেলের আম্পায়ার নীতিন মেনন। আর অ্যাশেজ চলাকালীনই নিজ দেশের ক্রিকেটারদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ভারতীয় এ আম্পায়ার। 

অ্যাশেজ বরাবরই উত্তাপ ছড়ায়। তবে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া মধ্যকার ঐতিহ্যবাহী এ লড়াইয়ে বোধহয় সবচেয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন আম্পায়াররা। অবশ্য ভারতীয় এ আম্পায়ারে কাছে অ্যাশেজের ম্যাচের চেয়েও ভারতীয় ক্রিকেটারের সামনে আম্পায়ারিং করা বেশি কঠিন।

সম্প্রতি ভারতীয় ক্রিকেটারদের এহেন আচরণ নিয়ে তাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন নীতিন মেনন। তাঁর ভাষ্যমতে, ভারতীয় ক্রিকেটাররা তাদের পক্ষে সিদ্ধান্ত দিতে আম্পায়ারদের চাপ প্রয়োগ করেন। অনেক সময়ই আম্পায়াররা স্নায়ুর চাপ সামলাতে না পেরে ফিফটি-ফিফটি পরিস্থিতিতে তাদের পক্ষে রায় দিয়ে ফেলেন।

এ প্রসঙ্গে নীতিন মেনন ভারতীয় এক গণমাধ্যমে অকপটে বলেছেন, ‘ভারত যখন নিজেদের মাটিতে খেলে তখন ম্যাচে অনেক উত্তেজনা থাকে। তবে সমস্যাটা হলো,  ভারতীয় দলের বড় তারকারাই ফিফটি-ফিফটি সিদ্ধান্তগুলো নিজেদের পক্ষে নিতে আম্পায়ারদের উপর চাপ প্রয়োগ করে। অবশ্য আমরা নিজেদের সিদ্ধান্তেই অটল থাকি। তাঁরা যাই-ই করার চেষ্টা করে, সেদিকে আমাদের অতটা গুরুত্ব থাকে না।’

নীতিন মেনন অবশ্য নিজের দক্ষতা দিয়েই আইসিসির এলিট প্যানেলভূক্ত হয়েছেন। ২০২০ সালে ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ আম্পায়ার হিসেবে তিনি আইসিসির এলিট প্যানেলে জায়গা পান। নিজের এমন কীর্তিতে অবশ্য মেনন মাঠের চাপ সামলিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত দেওয়ার চেষ্টাটাকেই গুরুত্ব দিয়েছেন। 

এমন অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ রকম চাপের পরিস্থিতিতে নিজেকে সামাল দেওয়ার ব্যাপারটি আমাকে অনেক আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। দেশের মাটিতে ভারতীয় আম্পায়ারদের আন্তর্জাতিক প্যানেলকে নেতৃত্ব দিতে পারার বিষয়টিও অত্যন্ত বড় ব্যাপার। শুরুতে আমার তেমন অভিজ্ঞতা ছিল না। কিন্তু শেষ তিন বছরে আম্পায়ার হিসেবে আমি আরও ভালো হয়েছি, পরিপক্ক হয়েছি।’

আম্পায়ারিংয়ের শুরুতে বিদেশের মাটিতে কোনো ম্যাচ পরিচালনা সুযোগ পাননি নীতিন মেনন। তবে গত বছরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে বিদেশের মাটিতে আম্পায়ারিংয়ের সুযোগ হয় ভারতীয় এ আম্পায়ারের।

সেই অভিজ্ঞতার সূত্র ধরেই ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাশেজের ম্যাচও পরিচালনা করার সুযোগ পাচ্ছেন তিনি। সবকিছু ঠিক থাকলে প অ্যাশেজের তৃতীয় ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে মাঠে নামবেন তিনি। এ ছাড়া পঞ্চম ও শেষ টেস্টে ম্যাচ অফিশিয়ালের অংশ হিসেবে টিভি আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করবেন নীতিন মেনন। 

নীতিন মেননের ভাষ্যমতে, অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতাই তাঁকে অভিজ্ঞতার রসদ জুগিয়েছে। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথম দুই বছরে শুধু ভারতেই আম্পায়ারিং করেছি। সেটা নিশ্চিতভাবেই দুর্দান্ত ছিল। এরপর অস্ট্রেলিয়া আর দুবাইয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচ পরিচালনা করেছি। মূলত, এই দুটি দেশের আম্পায়ারিং অভিজ্ঞতাই আমার আম্পায়ারিং ক্যারিয়ারকে আরো বেশি পরিণত করেছে। আমি অনেক শিখেছি। এখনো শিখছিই।’

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link