২০২১ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) দিয়ে লাইমলাইটে এসেছিলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার, এরপর ২০২২ সাল ভাল না গেলেও পরের বছর আবারও স্বপ্নের মত সময় কাটিয়েছেন তিনি; প্রায় ৩০ গড় আর ১৪৬ স্ট্রাইক রেটে চারশোর বেশি রান করেছিলেন। ফলে চলতি বছর তাঁকে ঘিরে প্রত্যাশা বেড়ে গিয়েছিল কয়েক গুণ, শুরুর দিকে সে অনুযায়ী পারফর্ম করতে না পারলেও টুর্নামেন্ট শেষে ঠিকই নিজের ইম্প্যাক্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন।
ফাইনাল, কোয়ালিফায়ারের মত লড়াইয়ে জয়ের নায়ক হয়ে উঠেছিলেন এই ব্যাটার। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসেই জ্বলে উঠেছেন তিনি, কলকাতা নাইট রাইডার্সের অবিচ্ছেদ্য অংশ বনে গিয়েছেন। যতবারই দল বিপদে পড়েছিল ততবারই ত্রাতা রূপে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
সবশেষ ম্যাচে ২৬ বলে ৫২ রান করেছেন এই ব্যাটার, চার চারের পাশাপাশি তিন ছয়ের মারে সাজানো ইনিংসে ভর করেই ১০ বছর পর আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। শিরোপার শেষ লড়াইয়ে মাত্র ১১৪ রানে থেমেছিল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। সহজ লক্ষ্য কিন্তু সুনীল নারাইনকে ফিরিয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে চেয়েছিল প্যাট কামিন্সরা। কিন্তু ভেঙ্কটেশ সেই সুযোগ দিলে তো, কাউন্টার অ্যাটাকিং অ্যাপ্রোচে মুহূর্তের মধ্যেই কলকাতাকে নাগালের বাইরে পৌঁছে দিয়েছেন তিনি।
থাঙ্গারাসু নটরাজনের এক ওভার থেকেই ১৯ রান আদায় করেছিলেন, তাতেই পাওয়ার প্লে শেষে দলীয় সংগ্রহে জমা হয় ৭২ রান। অতি আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের কল্যাণে ২৪ বলেই হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই বাঁ-হাতি। এরই মধ্য দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য টপকে গিয়েছে তাঁর দল।
অবশ্য কেবল ফাইনালে নয়, এর আগের ম্যাচগুলোতেও টানা পারফর্ম করে গিয়েছেন তিনি। কোয়ালিফায়ারে হায়দ্রাবাদের বিপক্ষেই ৫১ রানের ইনিংস এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে – অর্থাৎ শাহরুখ খানের তৃতীয় ট্রফিতে প্রত্যক্ষ অবদান আছে তাঁর।
চলতি আইপিএলে এখন পর্যন্ত ১৩ ইনিংস খেলেছেন আইয়ার, এ সময় প্রায় ১৬০ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৩৭০ রান। পুরো আসর জুড়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ব্যাটিং লাইন আপের স্তম্ভ হয়ে ছিলেন তিনি, আগামী আসরেও তাই তাঁর ওপরে নিশ্চয়ই ভরসা করবে রাইডার্স পরিবার।