বিগত মৌসুম ট্রফি খরায় ভোগা বায়ার্ন মিউনিখ নিয়ে বসে এক আকস্মিক সিদ্ধান্ত। রেলেগেট হওয়া দল বার্নলির ম্যানেজার ভিন্সেন্ট কোম্পানিকে নিয়োগ দেয় বাভারিয়ানরা। হঠকারি এ সিদ্ধান্তে কেবল বায়ার্ন ভক্তই নয় যেকোনো পাড় ফুটবল ভক্তেরই ভুরু কপালে ওঠে।
সাবেক এই বেলজিয়ান খেলোয়াড়কে নিয়োগের অন্যতম কারণ ছিল তার দীক্ষাগুরু পেপ গার্দিওলা। যিনি গত ১৩-১৪ মৌসুমটা বায়ার্নে কাটান। সে সময়ের স্বর্ণালী দিন ফিরে পাবার এক আকুল প্রচেষ্টার আদতে কোনো অর্থ ছিল না তখন। কারণ পেপ যে ম্যানচেস্টার সিটিতে নিজের একক আধিপত্য গেড়েছেন।
এমন সময়েই বায়ার্ন বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয় পেপের এক শিষ্যকে নিয়োগ দেবার। যার মাঝে পেপকে না পেলেও পেপের ছটা কিছুটা পাবেন। তবে বিগত মৌসুম ব্যার্থ কাটানো কম্পানির দলে যোগদানকে শুরুর দিকে ভক্ত হৃদয় সাদরে গ্রহন করতে পারেনি।
তবে সংশয়ের মেঘ অনেকটাই কেটে গেছে। সাবেক ম্যানচেস্টার সিটির হাতে বহাল তবিয়তেই আছে বায়ার্ন মিউনিখ। বুন্দেসলিগাতে কোম্পানির হাতে জার্মান জায়ান্টরা ৬ ম্যাচের পাঁচটিতেই জয় ছিনিয়ে এনেছে। সাথে ২ ড্রতে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগের শীর্ষে রয়েছে তারা।
কোম্পানির অন্যতম শক্তিমত্তা হচ্ছে বলের পজেশন। ঠিক গুরু পেপ গার্দিওলার মতো বলে ছাড় দেন না কোম্পানি। ফলে গড়ে ৬৬ শতাংশ সময়ে বল থাকে বায়ার্নের পায়ে। যা এ মৌসুমে বুন্দেসলিগাতে সর্বোচ্চ।
তবে পজেশন রাখতে দরকার চমৎকার পাসিং। আদতে সে দিকটিও নিশ্চিত করেছেন ভিনসেন্ট। তার ছায়ায় লিগ সেরা ৯০ শতাংশ পাসিং সাফল্য পেয়েছে বায়ার্ন।
যদিও লিগের বাইরে তার রক্ষণ কৌশল খুব একটা কাজে দিচ্ছে না। দলের ইন্টেন্স প্রেসিং ও হাই লাইন ট্যাকটিক্সে রয়ে যাচ্ছে কিছু কিছু শূন্যতা। যা প্রতিপক্ষকে কাউন্টার আক্রমণের সুযোগ করে দেয়।
এর খেসারত অবশ্য দিতে হয়েছে দলকে। বিগত তিন ম্যাচেই জয় পায়নি তার দল। ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছে এস্টন ভিলার হাতে। সেক্ষেত্রে গুরু পেপের মতো পজেশন রেখেই থামা যাবে না।কাজ করতে হবে পজেশন রক্ষায়েও।
মৌসুমের শুরুতে যখন দায়িত্ব নিয়েছিলেন। বিশ্ব ফুটবলের কেউই তাকে সাদরে গ্রহন করতে পারেনি। তবে নিজগুনে নিজের জাত চিনিয়েছেন ম্যানেজার পাড়ার এই নব্য সারথি। তবে শ্রেষ্ঠত্বের যাত্রায় এখনও পেরোনো বাকি সহস্র ক্রোশ।