চাঁদের গায়েও কলঙ্ক আছে, কলঙ্ক লেগে গেল এবার থিবো কোর্তোয়ার গায়েও। চীনের মহাপ্রাচীর কিংবা ফুটবলের সবচেয়ে দুর্ভেদ্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ফাঁক গলে বেরিয়ে গেল বল – ইস্প্যানিওলের বিপক্ষে আত্মঘাতী গোল করলেন বেলজিয়ান গোলরক্ষক। রিয়াল মাদ্রিদ যখন হন্যে হয়ে গোলের খোঁজে তখনই দলকে পরাজয়ের দিকে ঠেলে দিলেন তিনি।
তবে লস ব্ল্যাঙ্কোসদের সৌভাগ্য বটে, তাঁদের একজন ভিনিসিয়াস জুনিয়র আছেন। কোচ কার্লো আনচেলত্তিও জানেন তাঁর ভান্ডারের সবচেয়ে বড় মারণাস্ত্র কোনটি, তাই তো গোল হজমের সঙ্গে সঙ্গে বেঞ্চ থেকে মাঠে পাঠালেন তাঁকে।
কাকতালীয়, তবে ভিনি মাঠে পা রাখতেই গোলের দেখা পেয়ে যায় অল হোয়াইটরা। জুড বেলিংহ্যামের শট ডিফ্লেক্ট হয়ে চলে আসে দানি কারভাহালের কাছে, একেবারে বিনা বাঁধায় দলকে সমতায় ফেরান কারভাহাল। তবে এরপরের গল্পটা কেবল ভিনির একারই। জাদুবলে ম্যাচের মোড় ১৮০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে দিয়েছেন তিনি, ধুঁকতে থাকা রিয়াল পেয়ে গিয়েছে ম্যাচের লাগাম।
এই তারকা স্কোরবোর্ডে নাম লেখান ৭৫ মিনিটের মাথায়; বুটের বাইরের অংশ দিয়ে ‘মদ্রিচ’ ক্রসে তিনি খুঁজে নেন রদ্রিগোকে; সেখান থেকে ঠাণ্ডা মাথায় গোল করেন রদ্রিগো। গোল যদি নাও হতে, তবু এমন নিখুঁত ক্রস বারবার দেখার মতোন ছিল বটে।
মিনিট দুয়েক পরে অবশ্য ভিনি নিজেই গোল করে সব শঙ্কা দূর করেন। কিলিয়ান এমবাপ্পের পাস রিসিভ করে এগিয়ে যান গোলরক্ষক জোয়ান গার্সিয়ার দিকে, অতঃপর গার্সিয়ার পাশ দিয়ে বল পাঠান জালে – সবমিলিয়ে পাঁচ মিনিটের টর্নেডো, এক গোল আর এক অ্যাসিস্টে ম্যাচের গতিপথ লেখা হয়ে গেল। শেষদিকে অবশ্য এন্ড্রিকের কল্যাণে পেনাল্টি পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ, সেখান থেকে গোল আদায় করে লিড বানিয়ে নিয়েছেন ফরাসি স্ট্রাইকার।
১৫টি শট অন টার্গেট, আটটি বিগ চান্স – বিপরীতে একটা শট অন টার্গেট, শূন্য বিগ চান্স; রিয়াল মাদ্রিদ বনাম ইস্প্যানিওল ম্যাচের চিত্রপট এখানেই স্পষ্ট। ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে লস ব্ল্যাঙ্কোসরা; সমর্থকেরা ঠিক যেমনটা দেখতে চায় আর কি।