ব্যালন ডি’অর জিতবেন এমনটা ধরেই নিয়েছিলেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। কিন্তু অদৃষ্টের পরিহাসে হলো না সেটা, রদ্রির হাতে উঠলো ব্যালন। ফিফা দ্য বেস্ট পুরষ্কার ঘোষণার আগে তাই দুই পক্ষে ছিল টান টান উত্তেজনা – একদিকে ব্যালনের মালিক রদ্রি, অন্যদিকে ফ্যান ফেবারিট ভিনি।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য সাম্বা বয়ের হাতেই উঠেছে সেরার স্বীকৃতি। ২০০৭ সালের পর এই প্রথম কোন ব্রাজিলিয়ান এমন মর্যাদা পেলেন। যদিও এটা অবাক করার মতন কিছু নয়, সাম্প্রতিক সময়ে তিনি যেভাবে পারফর্ম করে চলছেন তাতে এসব অর্জন সময়ের ব্যাপার ছিল।
কাতারের দোহায় জমকালো এক অনুষ্ঠানে ঘোষণা করা হয় নামগুলো, ভিনিসিয়াস ছাড়াও পুরষ্কার উঠেছে নারী ফুটবলার আইতানা বোনমাতির হাতে। এই নিয়ে পরপর দু’বার নারী ফুটবলে ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ হলেন তিনি। এছাড়া সেরা বর্ষসেরা গোলরক্ষক হয়েছেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ এবং কোচ হয়েছেন কার্লো আনচেলত্তি।
গত বছরের আগস্ট থেকে চলতি বছরের আগস্ট মাস পর্যন্ত পারফরম্যান্স বিবেচনা করে আয়োজকরা বেছে নিয়েছেন আদর্শ প্রার্থী। এক্ষেত্রে ভিনিসিয়াসের নাম শোনা না গেলেই বরং অবাক হতে হতো। রিয়াল মাদ্রিদকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং লা লিগা জেতানোর পিছনে মহাগুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে তাঁর। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২৪ গোল করেছিলেন তিনি।
তবে গোল, অ্যাসিস্টের সংখ্যা কপচানোর দরকার পড়বে না; স্মৃতির পাতা ঘাঁটলেই দেখা যায় পুরো মৌসুম জুড়ে একের পর এক ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেয়ার মত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন এই লেফট উইঙ্গার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে গোল করেছেন তিনি, আবার বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন; সুপার কাপে বার্সেলোনার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন – স্মরণীয় দিনের আসলে কমতি নেই।
এই তারকার ব্যালন ডি’অর না জেতা আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল পুরো ফুটবল বিশ্বে। ফিফা দ্য বেস্টে অন্তত সেরকম কিছু হয়নি, যোগ্য হিসেবেই জিতেছেন তিনি ৷ এটা তাঁর চলার পথে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে নিশ্চয়ই, ব্যক্তিগতভাবে প্রথম মেজর এচিভমেন্ট বটে।