দানবকে ঘাটাতে যাবেন না, ঘাটালে সিটির মত বিপদে পড়বেন

স্টপ ক্রাইং ইউর হার্ট আউট - ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে এভাবেই স্বাগতম জানিয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটির সমর্থকেরা। রদ্রি তো সেটার ছবি তুলে মজাও লুটেছেন। তবে নব্বই মিনিটের রূপকথা শেষে নায়কের আসনে ওই একজনই। কান্না নয় বরং চওড়া হাসি নিয়েই ইতিহাদ ছেড়েছেন ভিনিসিয়াস।

স্টপ ক্রাইং ইউর হার্ট আউট – ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে এভাবেই স্বাগতম জানিয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটির সমর্থকেরা। রদ্রি তো সেটার ছবি তুলে মজাও লুটেছেন। তবে নব্বই মিনিটের রূপকথা শেষে নায়কের আসনে ওই একজনই। কান্না নয় বরং চওড়া হাসি নিয়েই ইতিহাদ ছেড়েছেন ভিনিসিয়াস।

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে আইডল মানেন ভিনি, তাঁর জার্সি গায়ে ছাপিয়ে খেলেন, তাঁর পজিশনেই খেলেন – ব্যঙ্গ বিদ্রুপ যে তাই তাঁকে টলাতে পারবে না সেটা আগেই বোঝা উচিত ছিল স্বাগতিক দর্শকদের। তবে এখন নিশ্চয়ই বুঝেছে, অন্তত পুরো ম্যাচ জুড়ে যে নাচন তাঁরা দেখেছে এরপর সন্দেহের জায়গা কই আর?

এদিন লেফট উইংয়ে খুঁটি গেড়ে বসেছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা; স্পিড আর ড্রিবলিংয়ে সিটির রক্ষণভাগের অন্তর কাঁপিয়ে দিয়েছেন বারবার। আরাধ্য গোলটা আসেনি, তবে দুই হাত ভর্তি করেই সাফল্য পেয়েছেন। দ্বিতীয় গোলে তিনিই বুলেট গতির শট নিয়ে এডারসনকে নাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তা নাহলে ব্রাহিম দিয়াজ এত সহজে গোল পেতেন?

আর অন্তিম মুহূর্তের কাব্যে তো সরাসরি অবদান আছে ব্ল্যাক ডায়মন্ডের, আগুয়ান গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে চিপ পাসে খুঁজে নিয়েছেন জুড বেলিংহ্যামকে। এর আগে রিকো লুইসের পা থেকে বল কেড়ে নেয়ার কাজটাও করেছেন। সবমিলিয়ে এ ম্যাচে পাঁচটা গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন তিনি – ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরষ্কারটা তো আর এমনি এমনি হাতে আসেনি তাঁর।

ভিনিসিয়াস সবসময়ই হেঁটেছেন কাঁটার ওপর দিয়ে। ক্যারিয়ারের শুরুতে ফিনিশিং নিয়ে সমালোচনা থেকে গায়ের রং নিয়ে ট্রোল – সবকিছুর জবাব দিয়েছেন তিনি, প্রতিবারই দুই পায়ের জাদুতে ভুলিয়ে দিয়েছেন সবকিছু।

এবার ইতিহাদ বুঝলো এই তারকার জেদ, তাঁকে দমানো কতটা কঠিন হাড়ে হাড়ে টের পেলো সবাই। এই টিফো আর তাঁর এমন পারফরম্যান্স – একই মুদ্রার দুটো পিঠ অনেকদিন মনে রাখবে ফুটবলপ্রেমীরা, মনে রাখতে বাধ্য হবে।

Share via
Copy link