শ্রীলঙ্কাকে গুঁড়িয়ে এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট এখন ভারতের। তবে আত্মবিশ্বাসী ভারতের ভাবনাটার পুরোটাই এখন বিশ্বকাপ জুড়ে। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পরেই বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে তাঁরা। বৈশ্বিক এ আসরের আগেই বিরাট কোহলি জানিয়ে দিলেন, সমর্থকদের জন্যই এই ট্রফি জিততে চান। দেশের মাটিতে ট্রফি জেতার সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না তাঁরা।
১৯৮৩ সালের পর ২০১১ বিশ্বকাপ। দীর্ঘ ২৮ পর এই ঘরের মাটিতেই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। তবে সেই বিশ্বকাপের পরের দুই আসরের প্রতিবারই ভারত আটকেছে সেমির গণ্ডিতে। ১২ বছর বাদে, এবার ঘরের মাটিতে সেই ২০১১ বিশ্বকাপের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চান কোহলিরা।
এবারের বিশ্বকাপে দলে থাকা একমাত্র কোহলিই ছিল ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য। তো, বিশ্বকাপ শিরোপা নিজেদের ঘরে ফেরাতে ভারত কতটা মরিয়া তা জানাতে বিরাট কোহলি টেনে এসেছেন সমর্থকদের অকুন্ঠ ভালোবাসা আর সমর্থনকে।
ভারতীয় গণমাধ্যম স্টার স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমাদের সমর্থকদের যে আবেগ এবং অকুণ্ঠ সমর্থন রয়েছে সেটাই বিশ্বকাপ জেতার ব্যাপারে আমাদের বড় শক্তি হিসেবে কাজ করবে। আগের বিশ্বকাপ জয়ের কথা ভাবলে এখনো ভালো লাগা কাজ করে। বিশেষত, ২০১১ সালে জেতার পরে যে অনুভূতি হয়েছিল তা এখনও হৃদয়ে থেকে গিয়েছে। আমরা সমর্থকদের জন্য এবার নতুন স্মৃতি তৈরি করতে চাই।’
২০১১ বিশ্বকাপের পর ২০২৩ বিশ্বকাপ জিতলে ভারতের তৃতীয় বিশ্বকাপ জয়ের সাথে কোহলিও পাবেন দ্বিতীয় বারের বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ। ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে যা আর কেউ পারেননি।
সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের অসাধারণ যাত্রার সঙ্গী হতে পেরে আমি গর্বিত। বিশ্বকাপই আমাদের সমর্থকদের আবেগকে আসল ভাবে ফুটিয়ে তোলে। আমরা নিজেদের সেরাটা দিতে এবার স্বপ্ন সত্যি করতে চাই।’
কোহলির মতো একই মত রবীন্দ্র জাদেজারও। তিনি বলেন, ‘আপনার সাফল্যের জন্য লাখ লাখ সমর্থক পাশে দাঁড়াচ্ছে, চিৎকার করছে। ক্রিকেটার হিসেবে এর চেয়ে ভাল আর কিছু কি-ইবা হতে পারে। আমরা জানি, এবারের বিশ্বকাপে গোটা দেশ আমাদের সঙ্গে থাকবে। আমরাও নিজেদের পারফরম্যান্স দিয়ে ওদের গর্বিত করতে চাই।’
আগামী ৫ অক্টোবর ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ শুরু হলেও ভারতের অভিযান শুরু হবে ৮ অক্টোবরে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। যারা আবার বিশ্বকাপ শুরুর আগে ভারতের মাটিতে ভারতের বিপক্ষেই ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে সেই সিরিজ।