বুমরাহকে ‘কপি’ করা উচিৎ শাহীনের
৩ ম্যাচ মিলিয়ে নিয়েছেন মোটে ৪ উইকেট। শাহীন আফ্রিদির এমন ধারহীন বোলিং নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো কারণই যেন খুঁজে পাচ্ছেন না পাকিস্তানের পেস বোলিং গ্রেট ওয়াকার ইউনুস।
বিশ্বকাপে এসে ছন্দে নেই শাহীন শাহ আফ্রিদি। হঠাৎ কী হলো পাকিস্তানি এ পেসারের? বিশ্বকাপ শুরুর আগেও যাকে নতুন বলের ত্রাস ভাবা হচ্ছিল, সেই আফ্রিদি এখন পর্যন্ত বড্ড নির্বিষ। ৩ ম্যাচ মিলিয়ে নিয়েছেন মোটে ৪ উইকেট।
শাহীনের এমন ধারহীন বোলিং নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো কারণই যেন খুঁজে পাচ্ছেন না পাকিস্তানের পেস বোলিং গ্রেট ওয়াকার ইউনুস। পাকিস্তানের এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাবেক এ পেসার জানিয়েছেন, ‘আমি আসলে বুঝতে পারছি না। মনে হচ্ছে ওর ফিটনেসে কোনো সমস্যা আছে। আরেকটা কারণও হতে পারে। সে উইকেটের জন্য অতিরিক্ত চেষ্টা করছে।’
এমনিতে ইনসুইং ইয়র্কারে সিদ্ধহস্ত আফ্রিদি। তবে সেই রণকৌশলটাই যে এখন কাজে দিচ্ছে এমনটাই জানিয়েছেন ওয়াকার ইউনুস। তাঁর মতে, প্রতিপক্ষের ব্যাটাররা তাঁর এই ইনসুইং ইয়র্কারে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে।
এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনি যখন একই কাজ বারবার করবেন, তখন ব্যাটাররা আগে থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করার সুযোগ পেয়ে যায়। আফ্রিদি প্রতিনিয়ত ইয়র্কার করার চেষ্টা করছে। আর সেটার জন্য ব্যাটাররাও নিজেদের প্রস্তুত রাখছে। আর এখানেই ওর ধার কমে যাচ্ছে।’
এই মুহূর্তে আফ্রিদির কী করা উচিৎ? এমন প্রশ্নে এরপর এক পর্যায়ে জাসপ্রিত বুমরাহর উদাহরণ টেনে আনেন ওয়াকার। তিনি বলেন, ‘বুমরাহ ওর বোলিংয়ে নতুনত্ব নিয়ে এসেছে। অফ স্টাম্পের ঠিক ওপরে বল করছে। আর এতে করে সে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের চাপে ফেলতে পারছে। পাকিস্তানের বিপক্ষেও দারুণ বোলিং করেছে সে। স্লোয়ার করেছে। পেসের সাথে ভ্যারিয়েশন এনেছে। আর এমন নিত্য নতুন কৌশলে সে উইকেটও পাচ্ছে।’
এ ছাড়া নাসিম শাহর দলে না থাকাও আফ্রিদির অধারাবাহিকতার একটা কারণ বলে মনে করেন ওয়াকার। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘নাসিমের সঙ্গটা আফ্রিদির জন্য সব সময়ই ভালো। কারণ নাসিম সব সময় প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এতে করে ব্যাটাররা অন্য বোলারের বোলিংয়ে রান বের করার চেষ্টা করে। তখনই উইকেট নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।’
তবে এরপর আবার ওয়াকার ইউনুস আরো যোগ করে বলেন, ‘একজন বোলার না থাকায় পাকিস্তান দলের বোলিং সেরা ছন্দে নেই, এই যুক্তিটা দিন শেষে অগ্রহণযোগ্যই। এটা আসলে পাকিস্তানের বোলারদের নিজেদের নিয়ে সূক্ষ্ম ভাবনার অভাবে হচ্ছে।’