আবারো বিতর্কের তুঙ্গে টাউমড আউট ইস্যু। এবারের বিশ্বকাপেই বাংলাদেশের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টাইমড আউট হয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। এরপর থেকে বিতর্কিত এই আউট নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি৷ কেউ কেউ ক্রিকেট চেতনার পরিপন্থী হিসেবে তির্যক সমালোচনায় সাকিবের মুণ্ডুপাত করেছেন। আবার কেউ কেউ আইনসিদ্ধ আউট হওয়ায় সাকিবের পাশে থেকেছেন।
টাইমড আউট নিয়ে এই শোরগোল না থামতেই এবার পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে মিলল প্রায় সমার্থক এক ঘটনা। হঠাতই ক্রিকেট পাড়ায় খবর বেরিয়েছে, টাইমড আউট হয়েছেন শোয়েব মাকসুদ। তবে সময় গড়াতেই দেখা গেল, ঘটনা ভিন্ন। শোয়েব মাকসুদ টাইমড আউটই হননি।
শনিবার পাকিস্তানের ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপে মুলতানের হয়ে ব্যাটিং করতে ক্রিজে এসেছিলেন শোয়েব মাকসুদ। তবে ক্রিজে কোনো বল ফেস করার আগেই তাঁকে ফিরিয়ে দেন আম্পায়ার। এরপরেই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে, টাইমড আউট হয়েছেন মাকসুদ।
কিন্তু মূল ঘটনা ভিন্ন। আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের ইনিংসের শেষদিকে ফিল্ডিংয়ে মাঠে ছিলেন না মাকসুদ। যতক্ষণ সময় তিনি মাঠে ছিলেন না, ঐ সময়টুকুর সমান পরিমাণ সময় মুলতানের ইনিংসে পেরিয়ে যাওয়ার পরই তিনি ব্যাট করতে পারতেন।
প্রথম ওভারেই জিশান আশরাফ আউট হয়ে গেলে ব্যাটিং পজিশন অনুযায়ী ক্রিজে যান মাকসুদ। কিন্তু, তখন পর্যন্ত সেই পেনাল্টি টাইম আটকাতেপারেননি এ ব্যাটার। এ কারণেই আম্পায়াররা তাঁকে ফিরিয়ে দেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এ ক্ষেত্রে পেনাল্টি টাইমের নিয়মটা কী?
আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশন বলছে, মাঠের বাইরে কোনো খেলোয়াড় যতটুকু সময় কাটাবে, ফেরার পর পেনাল্টি টাইম হিসেবে ততক্ষণ মাঠের ভেতরে কাটানোর পরই তিনি বোলিং অথবা ব্যাটিং করতে পারবেন।
অবশ্য ৮ মিনিটের কম সময় মাঠের বাইরে থাকলে এ নিয়ম প্রযোজ্য নয়। শোয়েব মাকসুদ মাঠের বাইরে ছিলে ৮ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে। আর এ কারণেই তিনি ঐ সময়ে ব্যাটে নামতে পারেননি।
তবে পরের উইকেট পতনের পরই আবারো ব্যাটিংয়ে নামেন শোয়েব মাকসুদ। ৬৬ রানে মুলতানের দ্বিতীয় উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ক্রিজে নামেন তিনি। অবশ্য ১২ রানের বেশি করতে পারেননি ডানহাতি এ ব্যাটার। যদিও ব্যাট হাতে ব্যর্থতার দিনেও ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে তাঁর দল মুলতান।