একঝাক তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়েছিল ভারত। কেননা ভারতের মূল খেলোয়াড়রা ইংল্যান্ডে ব্যস্ত টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে। তবে তরুণ ক্রিকেটার হলে তাঁরা সবাই ছিলেন ভারতের ক্রিকেটে পরিচিত নাম। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেদের বারবার প্রমাণ করেছেন। এছাড়া আইপিএলেও তাঁদের অনেকেই বড় নাম।
এদিকে এবার তাঁদের সামনে সুযোগ ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের প্রমাণ করার। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি কয়েকজন। ফলে প্রায় ১৩ বছর পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কোন দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হারলো ভারত। নিজেদের প্রমাণ করতে না পারা সেই ক্রিকেটারদের নিয়েই এই আয়োজন।
- নিতিশ রানা
এই বছর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) দারুণ ছন্দে ছিলেন নিতিশ রানা। এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটেও রান করে যাচ্ছিলেন ধারাবাহিক ভাবে। বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান টপ অর্ডারে শ্রীলঙ্কা সফরের বড় কাণ্ডারি হতে পারতেন।
শেষ ওয়ানডে ম্যাচে একাদশে সুযোগ পেলেও খুব বেশি সময় পাননি তিনি। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুইটি ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দুইবারই নিজেকে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন এই ব্যাটসম্যান। নিজে বারবার বলেছিলেন, একটা সুযোগের অপেক্ষায় আছেন, তবে এবার সুযোগ পেয়ে হয়েছেন ব্যর্থ।
- রুতুরাজ গায়কড়
আইপিএলে নিজের ব্যাটিং প্রতিভা দিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন এই ব্যাটসম্যান। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে টপ অর্ডারে দারুণ কিছু ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। ফলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দলে ডাক পান তিনি। তবে দলে আরো ওপেনার থাকায় ওয়ানডে সিরিজে একাদশে সুযোগ হয়নি তাঁর।
তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজে শেষ দুই ম্যাচে তাঁর দরজা খুলে যায়। তবে টপ অর্ডারে সুযোগ পেয়ে দুই ম্যাচের কোনটিতেই নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি রুতুরাজ গায়কোয়াড়।
- চেতন সাকারিয়া
চেতন সাকারিয়া ভারতের ক্রিকেটে উঠে আসা তরুণ প্রতিভা। এই পেস বোলারের স্কিল ও বৈচিত্র দারুণ। এই বছর আইপিএলেও রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে দারুণ সব বোলিং স্পেল উপহার দিয়েছেন তিনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে ম্যাচেই দলে জায়গা পেয়েছিলেন তিনি। সেখানে ২ উইকেটও নিয়েছিলেন।
ওদিকে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ার প্লেতে অনেক রান খরচ করে ফেলেছিলেন তিনি। এছাড়া তৃতীয় ম্যাচে দলে থাকলেও অধিনায়ক তাঁকে একবারো বল দেয়নি। ফলে তিনিও নির্বাচকদের আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি।
- দেবদূত পাদ্দিকাল
দেবদূত পাদ্দিকাল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সবচেয়ে আলোচিত ক্রিকেটারদের একজন ছিলেন। এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটেও নিজেকে দারুণ ভাবে প্রমাণ করেছেন তিনি। যখনই সুযোগ পেয়েছেন ব্যাট হাতে রান করে গিয়েছেন এই ব্যাটার। এর পুরষ্কার হিসেবেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দলে জায়গা পেয়েছিলেন তিনি।
সিরিজের শেষ দুইটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে একাদশেও সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দুই ম্যাচেই স্পিনারদের বিপক্ষে বেশ ভুগেছেন তিনি।
- স্যাঞ্জু স্যামসন
তরুণদের মধ্যে বড় ভরসার নাম ছিলেন সাঞ্জু স্যামসন। যদিও ওয়ানডে অভিষেকটা ভালোই হয়েছিল এই ব্যাটসম্যানের। ৪৬ রানের ইনিংস খেলে শুরু করেছিলেন আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ২০ বলে ২৭ রানের একটা ইনিংস খেললেও শেষ দুই ম্যাচে পুরোপুরি ব্যর্থ ছিলেন তিনি। ফলে তিনি প্রতিদান দিতে পারেননি নির্বাচকদের আস্থার। এর চেয়েও বড় ব্যাপার হল লেগ স্পিনারদের বিপক্ষে একদমই নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি তিনি।