এমিলিয়ানো ‘দিবু’ মার্টিনেজ, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ফুটবলের অন্যতম সফল গোলরক্ষক। অথচ, সেই তুলনায় তাঁর ক্লাব ক্যারিয়ার বেশ সাদামাটা। ভক্ত কূলের মাথায় প্রশ্ন আসাটাই স্বাভাবিক, যে কেন বিশ্বকাপজয়ী এই কিপারকে কোন বড় দল ভেড়াতে চাইছেন না?
এক্ষেত্রে একটা কথা চলেই আসতে পারে যে, হয়তো তার বয়স বেশি। আসলেই তো! ফুটবল তারকারা না ৩০ এর পরে বুড়িয়ে যায়? কিন্তু সে তো আর কিপারদের জন্য না। এইতো কিছুদিন আগেও ৪৫ বছর বয়সী বুফন সিরি -আ খেলে গেলেন। ৩২ বছর বয়সী এমি তাহলে কি দোষ করলেন?
তাহলে আরেকটু কিছুদিন আগে ফিরে যাই। মনে আছে তো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের রেকর্ডধারী ডেভিড ডি গিয়ার কথা? ম্যান ইউ তাঁকে মূলত তাঁর খেলার ধরনের সাপেক্ষে ছেড়ে দিয়ে নিয়ে আসে ওনানা-কে। ডেভিড ডে গিয়া ছিলেন মূলত শট স্টপার। বল থামানো বা গোল বার রক্ষার বাইরে আউটফিল্ড পাসিং এ তাঁর অংশগ্রহণ ছিল নগন্য।
যা আধুনিক ফুটবলে তুলনামূলক কম কার্যকর। ঠিক এই কারণেই শুধু ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডই না বরং সকল ক্লাবই খোঁজ করেন একজন সুইপার কিপারের। যিনি জার্মান কিংবদন্তি ম্যানুয়েল নয়ার বা এডারসনের মতো গোলবার সামলানোর পাশাপাশি আউটফিল্ড পাসিং এ অংশ নেবেন। মনে আছে তো, ব্রাইটনের বিরুদ্ধে এডারসনের সেই গোলকিকে অ্যাসিস্ট পাবার ঘটনা?
বিশ্ব বরেণ্য এমি মার্টিনেজও প্রকৃতিগত ভাবে ডেভিড ডি গিয়ার মতোই একজন শট স্টপার। যাকে বিশ্ব ফুটবলে গতানুগতিক বা ট্র্যাডিশনাল গোলকিপার বলে। তবে এটা মানতেই হবে, তাঁর শট থামানো দক্ষতা বিশেষ করে পেনাল্টিতে অতুলনীয়।
তাঁর দক্ষতাবলেই আর্জেন্টিনা আজ ফুটবল বিশ্বের শীর্ষে। তাঁর এই দক্ষতা অ্যাস্টন ভিলা-কেও মুগ্ধ করেছে। তবে অধিকাংশ বড় দলের চাহিদাই আজকাল সুইপার কিপার। কারণটাও স্পষ্ট, কিপারকেও আক্রমনের অংশ হিসেবে বিবেচনায় নেয়া হয়। এতে করে খেলার বৈচিত্র্যও বাড়ে।
নিঃসন্দেহে এমি মার্টিনেজ শুধুমাত্র আর্জেন্টিনারই নন বিশ্ব ফুটবলেরও একজন কিংবদন্তিতুল্য খেলোয়াড়। তবে ফুটবল বিশ্ব পরিবর্তনশীল । এখানে শট থামানোর দক্ষতার চেয়ে বরং সুইপার কিপিং এর চাহিদাটাই বেশি। যার জন্য বিশ্বসেরা এই গোলরক্ষক ক্লাব ক্যারিয়ারে থেকে যাচ্ছেন লাইম লাইটের অন্তরালেই।