ফুটবল প্রেমীদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মাঠে গড়িয়েছে ইউরো ২০২০-এর আসর।
দুই দিন না যেতেই নানা ঘটনায় জমে উঠেছে এবারের আসর। করোনার কারণে গতবছর মাঠে না গড়ালেও এক বছর বাদে ঠিকই হচ্ছে ইউরো। তবে করোনার থাবা থেকে এখনো পুরোপুরি মুক্ত হতে পারেনি পৃথিবী। ফলে করনোরা কারণে এবারের ইউরোতে এসেছে বেশ কিছু পরিবর্তন। তবে এরমধ্যে ১১টি দেশে ইউরো আয়োজিত হবার ঘটনাটি সবচেয়ে বিস্ময়কর।
ইতালির রোমে বোচেল্লির অপেরার সুরে শুরু হয় এবারের ইউরোপ যাত্রা। ছয়টি গ্রুপে ভাগ হয়ে মোট ২৪টি দল খেলবে ওই শিরোপাটির জন্য। ১১টি শহরে এক মাস ধরে লড়বে দল গুলো। ১১ দেশে কেনো হচ্ছে ইউরো তা নিয়েও আছে নানা জল্পনা কল্পনা।
করোনার কারণে ইউরোতে পরিবর্তনের তালিকা বেশ দীর্ঘ। তবে এরমধ্যে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো ১১টি শহরে হচ্ছে এবারের ইউরো। অনেকেই হয়তো ভাবছেন করোনার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে উয়েফা। তবে অবাক করা বিষয় হচ্ছে একাধিক দেশে আয়োজনের পরিকল্পনার কথা ২০১২ সালেই বলেছিলেন উয়েফা প্রেসিডেন্ট মিশেল প্লাতিনি।
একাধিক দেশে ইউরো আয়োজন করে আসরটিকে আরো রোমান্টিক করতে চেয়েছিলেন তিনি। এর মূল কারণ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ৬০ বছর পূর্তি উদযাপন করা। সেই পরিকল্পনা থেকে অবশেষে ১১টি দেশে আয়োজিত হচ্ছে আসরটি। তবে এই তালিকায় ছিল আরো দুটি দেশ।
বেলজিয়াম ও আয়ারল্যান্ডেও আয়োজক হবার কথা ছিল এই আসরের। তবে বেলজিয়াম তাঁদের স্টেডিয়ামের কাজ পুরোপুরি শেষ করতে না পারায় শেষ পর্যন্ত তাঁদের বাদ দেয়া হয়। ওদিকে আয়ারল্যান্ড নিশ্চিত করতে পারেনি আদৌ তাঁরা মাঠে দর্শক আসতে দিতে পারবে কি না।
উয়েফা এই করোনার মাঝে তাঁদের দর্শকদের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। তাঁরা চাইছিল যে করেই হোক মাঠে যেনো দর্শক থাকে। এক্ষেত্রে উয়েফার ভেন্যু নির্বাচনের পদ্ধতিটাও বেশ মজার। যেইসব ভেন্যুর ধারণ ক্ষমতা বেশি তাঁদেরই আয়োজকে ভূমিকা দেয়া হবে। এই কারণেই ১১টি দেশের ১১টি বড় ভেন্যুকে আয়োজকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
এর আগে দুটি দেশে করে তিন বার ইউরো আয়োজন হরেছে। একটি দেশের একাধিক শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে অনেকবার। তবে ১১টি দেশের ১১টি শহর যেনো অকল্লপনীয়। ফলে গোটা ইউরোপ যেন কাঁপছে ফুটবল জ্বরে।