এই বিশ্বকাপে বিরাট কোহলির উইকেট একটা। চার ওভারের কম বোলিং করা কোহলি আউট করেছেন নেদারল্যান্ডসের অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসকে। আর বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ স্পিনার নাসুম আহমেদের বিশ্বকাপে উইকেট কয়টা জানেন? শূন্যটা, তিন ম্যাচ খেলেও নামের পাশে কোন উইকেট যোগ করতে পারেননি তিনি।
নাসুম আহমেদ বনাম তাইজুল ইসলাম – এমন একটা প্রতিযোগিতা ওয়ানডে ফরম্যাটে হয়েছিল লম্বা সময় ধরেই। শেষমেশ নাসুমের ওপরই ভরসা করেছিল টিম ম্যানেজম্যান্ট, কিন্তু কেন সেটার সদুত্তর পাওয়া যায়নি। কেউ বলেছেন নাসুম উইকেট টেকার, কেউ বলেছেন ইকোনমিক্যাল বোলার।
আদতে এই বাঁ-হাতি কোনটাই হতে পারেননি। ভারতের বিপক্ষে সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে প্রথমবার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। নয় ওভার তিন বল হাত ঘুরিয়ে রান দিয়েছেন ৬০, ইকোনমি ছয়ের ওপরে। পরবর্তীতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে পাঁচ ওভার বল করেছেন, ইকোনমি সাড়ে পাঁচ – বোলিংয়ের কোটা পূরণ করলে হয়তো সেটা ছয় পেরিয়ে যেতো।
সবশেষ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আবার ওভারপ্রতি আটের বেশ রান খরচ করেছেন তিনি। তিন ম্যাচের কোনটিতেই তাঁকে প্রতিপক্ষের জন্য হুমকি মনে হয়নি।
পিচের সুবিধা না পাওয়ায় একেবারে নখদন্তহীন বোলিং করেছেন এই অফ স্পিনার। শুধু ভারতে নয়, পাকিস্তান আর শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপেও ব্যাটারদের আউট করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।
অথচ চলতি বছরের পরিসংখ্যান বিবেচনায় এগিয়ে তাইজুল। ছয় ম্যাচ খেলে দশ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি, বোলিং গড় মাত্র ২৬। অন্যদিনে নাসুম এগারো ম্যাচ খেলে নিয়েছেন মাত্র সাত উইকেট, গড় ৬০ এর বেশি! অবশ্য ইকোনমিতে দুজনের মধ্যে তেমন ফারাক নেই।
তুলনামূলক বেশি অভিজ্ঞ হওয়া সত্ত্বেও তাইজুলকে রাখা হয়নি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে। এমনকি এশিয়া কাপেও ছিলেন না। তাঁর পরিবর্তে সুযোগ পাওয়া নাসুম দুইটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চেই হতাশ করেছেন ভক্ত-সমর্থকদের। তাই তো বলা যায়, নাসুম-তাইজুল দ্বৈরথে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাকিব এবং টিম ম্যানেজম্যান্ট।