তামিম ইকবাল, তানজিদ হাসান তামিম – নামে মিল আছে দেখেই বোধহয় তামিম ইকবাল পরবর্তী সময়ে কেবল তানজিদের মাঝেই নতুন তামিমকে খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে টিম ম্যানেজম্যান্ট। অন্য কোন কারণ আছে বলে তো মনে হয় না; আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর পারফরম্যান্সের ছন্নছাড়া রূপ অথচ দলে একরকম অটো চয়েস হয়ে আছেন তিনি। স্রেফ নামটা তামিম বলেই?
চলতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ছয় রান করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে দুই রান করেছেন এই বাঁ-হাতি। শুধু একটা সিরিজই নয়, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে তিনি খেলে ফেলেছেন দশ ইনিংস, কিন্তু সবমিলিয়ে মোট রান তিন অঙ্কের ঘর পর্যন্ত পৌঁছায়নি। ৯.৯ গড়ে করেছেন ৯৯ রান, সাত ইনিংসে তো দুই অঙ্কের রানই করতে পারেননি।
তবু একাদশে এই তরুণের জায়গা পাকা, অদৃশ্য কোন হাত তাঁর কাঁধের ওপর আছে বোধহয়। সেজন্যই দলে টিকে থাকতে ফর্মের ধারাবাহিকতা নিয়ে ভাবতে হয় না তাঁকে। উইকেটে আসেন, ইচ্ছে হলে দুই একটা ক্ল্যাসিক্যাল শট খেলেন নয়তো সেটাও খেলেন না এবং তারপর ড্রেসিংরুমে চলে যান।
জাতীয় দলের রাডার থেকে তামিম ইকবাল দূরে সরে যাওয়ার পর থেকেই বিকল্প হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছিল তানজিদ তামিমকে – কিন্তু সত্যি বলতে তিনি কখনোই সেই ভরসার প্রতিদান দিতে পারেননি। মাঝে মাঝে সামর্থ্যের ঝলকানি দেখালেও সেটা যথেষ্ট নয়।
বাংলাদেশের পাইপলাইনের দৈন্যতাও ফুটে উঠে এর মধ্য দিয়ে। দেড় বছরের বেশি সময় পার হলেও নতুন একজন ওপেনার পারেননি তানজিদকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে – এই অভাব চাইলেই রাতারাতি পূরণ হবে না, ঘরোয়া ক্রিকেটে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনলে তবেই মিলবে পর্যাপ্ত অপশন।
তবু এখন একজনের ওপর অন্ধ ভরসা অযৌক্তিক, ধারাবাহিক ব্যর্থতা সত্ত্বেও দলে রাখা উন্নতির অন্তরায়। এভাবে চলতে থাকলে বরং এই তরুণকে বাদ দিতে হবে, নিজের ভুল ত্রুটি নিয়ে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। কি জানি, তাঁর পরিবর্তে অন্যান্য অপশন যাচাই করলে বিধ্বংসী কাউকে মিলেও যেতে পারে।