বিশ্বকাপে সব যেন এলেমেলো হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশের। ব্যাটাররা ভুলে গিয়েছেন নিজেদের পজিশন, লিটন দাস এবং তানজিদ হাসান তামিম ছাড়া প্রায় সবাইকেই একেকবার একেক অবস্থায় নামতে হচ্ছে বাইশ গজে। আর এতেই ভঙ্গুর ব্যাটিং লাইনআপ হয়ে উঠেছে আরো নড়বড়ে।
তিন নম্বরে রান মেশিনে পরিণত হওয়া নাজমুল হোসেন শান্তকে দুই ম্যাচে চারে পাঠিয়েছে টিম ম্যানেজম্যান্ট। আবার মিডল অর্ডারে দারুণ মানিয়ে নেয়া তাওহীদ হৃদয়কে ব্যাটিং করতে হচ্ছে সাত নম্বরে। এমনকি ইনফর্ম মেহেদী হাসান মিরাজ কোথায় ব্যাট করবেন সেটা ম্যাচ শুরুর আগে বলতে পারবেন না তিনি নিজেই।
টাইগারদের এমন অবস্থা দেখে খানিকটা বিরক্তই বটে কিংবদন্তি স্পিনার অনিল কুম্বলে। তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালে সাকিব সবচেয়ে সেরা পারফর্ম করেছে তিন নম্বরে, সে অনেক রান করেছিল। কিন্তু এখন সে নিচের দিকে ব্যাট করছে, আবার মুশফিকও একই। মেহেদি তাঁর ব্যাটিং অর্ডার সম্পর্কে জানে না কিছু, এমন পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য ব্যাটারদের দ্বিধাগ্রস্ত মনে হচ্ছে।’
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়েও কম পরীক্ষা হচ্ছে না। প্রথম ম্যাচে একাদশে থাকলেও সেদিন ব্যাটিং করতে পারেননি তিনি; ইংল্যান্ডের সাথে তো বেঞ্চেই থাকতে হয়েছিল। আর শেষপর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যখন ব্যাট হাতে নেমেছেন রিয়াদ, তাঁর পজিশন ছিল ‘আট’।
দলের অন্যতম অভিজ্ঞ সদস্যকে পুরোপুরি ব্যবহার করছে না বাংলাদেশ সেটা নিয়েও ক্ষোভ ঝেড়েছেন এই ভারতীয় তারকা। তিনি বলেন, ‘আপনি আট নাম্বারে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহকে খেলাচ্ছেন? আট নম্বরে সে কি করবে? সে কিছুই করতে পারবে না। আপনার উচিত তাঁকে ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন দেয়া।’
শুধু অনিল কুম্বলেই নয়, কোন ক্রিকেট বিশ্লেষকই বুঝছেন না বাংলাদেশের টিম ম্যানেজম্যান্টের উদ্দেশ্য। কেন-ইবা ব্যাটারদের বারবার গিনিপিগ বানানো হচ্ছে সেই উত্তর তাই দলের ক্রিকেটারদেরই। শীঘ্রই এসব বন্ধ না হলে হয়তো টাইগারদের ব্যাটিং পারফরম্যান্সের গ্রাফ আরো নিচের দিকে নামবে।