শেষ সুযোগ পাবেন কি সালমান আঘা!

এশিয়া কাপে সালমান আলী আঘার নেতৃত্বে ফাইনাল খেলেছে পাকিস্তান। তবুও অধিনায়কের উপর কি সন্তুষ্টির টিক চিহ্ন দিতে পারছে বোর্ড? যোগ্যতার প্রশ্নে যে প্রশ্নবিদ্ধ সালমান।

এশিয়া কাপে সালমান আলী আঘার নেতৃত্বে ফাইনাল খেলেছে পাকিস্তান। তবুও অধিনায়কের উপর কি সন্তুষ্টির টিক চিহ্ন দিতে পারছে বোর্ড? যোগ্যতার প্রশ্নে যে প্রশ্নবিদ্ধ সালমান। এমতাবস্থায় পাকিস্তানের সামনে এখন দুটো পথ খোলা—হয় তাঁকে ছেটে ফেলা নইলে একটা শেষ সুযোগ দেওয়া। কোন পথে হাঁটবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)?

পিসিবির অভ্যন্তরে দুটি মতের বিভাজন দেখা দিয়েছে। এক পক্ষ মনে করছে আঘাকে আরও সময় দেওয়া দরকার, যাতে তিনি নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা থেকে শেখার সুযোগ পান। অপর পক্ষের ধারণা, তাঁর অধিনায়কত্ব ইতিমধ্যেই ব্যর্থ, এবং দলের স্বার্থে নতুন নেতৃত্ব জরুরি।

অবশ্য যোগ্যতার মাপকাঠিতে বড় দলের বিপক্ষে তাঁর সফলতার হার বলতে গেলে শূন্যের কোটায়। এশিয়া কাপে ভারতের কাছে তিন হার সেই কথারই প্রতিচ্ছবি। যদিও ৩০ ম্যাচের ১৭ টিতেই অধিনায়ক হিসেবে জয়ী হয়েছেন, যেখানে জয়ের হার ৫৭ শতাংশ। পরিসংখ্যানের বিচারে খুব বেশি খারাপ বলা না গেলেও এর অধিকাংশ জয় এসেছে তুলনামূলক ছোট দলের বিপক্ষে।

অধিনায়ক হিসেবে আঘার নিজের ব্যাটিং ফর্মও এক অর্থে দৃষ্টিকটূ। এশিয়া কাপে সাত ম্যাচে রান করেছেন মাত্র ৭২ রান, গড় ১২.০০ এবং স্ট্রাইক রেট ৮০.৮৯—টি-২০ ব্যাটসম্যানের জন্য যা উদ্বেগজনক। মোট অধিনায়কত্বে ২৮ ইনিংসে ৫৫৭ রান, স্ট্রাইক রেট মাত্র ১১০। সব মিলিয়ে বোঝা যায়, নেতৃত্বের চাপ সামলাতে ব্যর্থ হয়েছেন আঘা।

এছাড়াও অধিনায়ক হিসেবে তাঁর কৌশলগত সিদ্ধান্তও বেশ প্রশ্নবিদ্ধ। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে বার বার ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। অর্থাৎ নিজের পাশে কোন পজিটিভ কিছুই দাঁড় করানোর নেই আঘার কাছে।

সালমান আলী আঘার অধিনায়কত্ব পাকিস্তান দলের জন্য এখন পর্যন্ত হতাশার। নামের পাশে সম্ভাবনাময় ট্যাগ থাকলেও তেমন কিছুই সম্ভব করতে পারেননি। এখন বোর্ডের সামনে চ্যালেঞ্জটা একটু বেশি, ধরে রাখবে নাকি ছেটে ফেলে দেওয়া হবে আঘাকে, সিদ্ধান্ত যে নিতে হবে দ্রুতই।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link