এবারের আইপিএল মানেই যেন শেষ ওভারের রোমাঞ্চ। সেই ধারাবাহিকতায় গুজরাটের সামনে পাঞ্জাবের দেওয়া ১৫৪ রানের লক্ষ্যও যেন এক মুহূর্তের জন্য থমকে গিয়েছিল স্যাম কারেনের করা ইনিংসের শেষ ওভারের রোমাঞ্চে। অবশ্য আশা নিরাশার দোলাচলেও ঠিকই ৬ উইকেটে ম্যাচটি জিতে নিয়েছে গুজরাট টাইটান্স।
অবশ্য টসে হেরে এ দিন পাঞ্জাব কিংসের ব্যাটিংটাই হয়েছিল একদম যাচ্ছেতাই। ইনিংসের শুরুতেই শূন্য রানে ফিরে যান প্রাভসিমরান সিং। এখন পর্যন্ত পাঞ্জাবের ব্যাটিং লাইনআপে অন্যতম প্রাণভোমরা শিখর ধাওয়ানও এ দিন উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দলীয় ২৮ রানের মাথায় তিনিও সাজঘরে ফিরে যান জশুয়া লিটলের শিকার হয়ে।
অবশ্য টপ অর্ডারদের ব্যর্থতায় এ দিন জ্বলে উঠেছিল পাঞ্জাবের মিডল অর্ডার ব্যাটাররা। কেউই তেমন ইনিংস বড় করতে পারেননি। কিন্তু ম্যাথিউ শর্ট থেকে শুরু করে ভানুকা রাজাপাকশে, জিতেশ শর্মা- প্রায় সবাই ছোট ছোট ইনিংস খেলে পাঞ্জাবের ইনিংসকে কিছুটা সংহত করার চেষ্টা করেন।
শেষ দিকে শাহরুখ খানের ৯ বলে ২২ রানের ব্যাটিং তাণ্ডবে পাঞ্জাবের সেই সংগ্রহকে আরেকটু বাড়িয়ে দেয়। আর এতেই নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৫৩ রানের পুঁজি পায় পাঞ্জাব কিংস।
পাঞ্জাবের দেওয়া ১৫৪ রানের লক্ষ্যে শুরু থেকেই আগ্রাসী ভূমিকায় ব্যাট করতে শুরু করেন গুজরাটের দুই ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা আর শুভমান গিল। এ দুই ব্যাটারের জুটি থেকে আসে ৪৮ রান। ব্যক্তিগত ১৯ বলে ৩০ রান করে ঋদ্ধিমান সাহা আউট হয়ে ফিরে গেলেও এ দিন নিজের হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন শুভমান গিল।
ফিফটি পূরণের পরও থমকে যাননি গিল। বরং পরবর্তীতে নিজে ব্যাটিং দৃঢ়তা দেখিয়ে গুজরাটকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যান এ ব্যাটার। তবে ইনিংসের শেষ ওভারে ব্যক্তিগত ৬৯ রানে স্যাম কারেনের বলে বোল্ড হয়ে গিল ফিরে গেলে কিছুটা শঙ্কায় পড়ে যায় গুজরাট টাইটান্স।
যদিও কারেনের সেই প্রচেষ্টা গুজরাটের জয়ের পথে দিনশেষে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। শেষ দুই বলে ৪ রানের সমীকরণে স্যাম কারেনের পঞ্চম বলে চার মেরে গুজরাটের জয় নিশ্চিত করেন রাহুল তেওয়াতিয়া।
৬ উইকেটের এ জয়ের ফলে আবারো জয়ের ধারায় ফিরল গুজরাট টাইটান্স। আর এবারের আসরে টানা দুই ম্যাচ জিতে দারুণ শুরু করা পাঞ্জাব কিংস এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচ হারের তিক্ত স্বাদ পেলো।