প্রশ্নবিদ্ধ বোলিং আক্রমণ বাছাই করার আলোচনাটাই মূখ্য। এর মধ্যে সাকিবের বিশ্বকাপের মঞ্চে ৫০ উইকেট দখলের মাইলফলকে পৌঁছে যাওয়াটা খুবই গৌণ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে ৫০ উইকেটের মাইলফলকে পৌছাতে ঠিক ৩ উইকেটই দরকার ছিল সাকিবের। নেপালের বিপক্ষে ইনিংসের শেষ দু’টি উইকেট পাওয়ার পর এবার ভারতের বিপক্ষে ইনিংসের প্রথম উইকেট ঢুকল সাকিবের ঝুলিতে। বড় শট খেলতে গিয়ে মিড অফে জাকের আলীর হাতে ক্যাচ তুলে দেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
তবে, সাকিবের এই মাইলফলক ছাপিয়ে আলোচনায় বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ। না, বোলার কম নেই একাদশে। পাঁচ বোলার নিয়েই খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। তবে, দুই স্যুইং বোলার তাসকিন আহমেদ বা শরিফুল ইসলাম – কেউ একাদশে নেই।
তাসকিনকে বসিয়ে বাড়তি ব্যাটার হিসেবে নেওয়া হয়েছে জাকের আলীকে, চলতি আসরে যার সর্বোচ্চ রান ১৪ নট আউট। অথচ, তাসকিনই শেষ দুই ম্যাচে শেষের দিকে ব্যাট চালিয়ে রানটা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের। এই তাসকিনকে বাদ দিয়ে কাউকে আনতে হলে সেটা অবশ্যই শরিফুলই হতে হত।
সেটা না করে বাংলাদেশ রীতিমত পলায়নপর এক একাদশ গঠন করেছে। ভারতীয় দলে এক গাদা ডান হাতি ব্যাটার, সেখানে একজন অন্তত বাঁ-হাতি স্যুইং বোলার না রাখাটা রীতিমত অন্যায়। সেই সুযোগটা বিরাট কোহলি ভালভাবেই নিয়েছেন। ২৮ বলে আউট হওয়ার আগে করেন ৩৭ রান।
একাদশে স্পিনার আছেন সাড়ে তিনজন। এর মধ্যে চলতি বিশ্বকাপে সাকিবের বল হাতে ফর্ম কেমন – সেটা কম বেশি সবারই জানা। রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে দিলেও দুই ওভারে সাকিব রান গুণলেন ২৫ টা। লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের সাথে তৃতীয় স্পিনার হলেন শেখ মেহেদী হাসান, যিনি এই বিশ্বকাপে এর আগে ম্যাচ খেলেছেন মাত্র একটা। ষষ্ঠ বোলার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, যাকে দিয়েও আসলে দুই-এক ওভারের বেশি করানোর উপায় নেই বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের পরিকল্পনাটা পরিস্কার। বাড়তি ব্যাটার খেলিয়ে ‘অথর্ব’ টপ অর্ডারের ওপর চাপ কমানো। এই পরিকল্পনায় সম্মানজনক হার হয়তো জুটবে – কিন্তু সেমিফাইনালে যাওয়ার আশাটা স্বপ্নই থেকে যাবে।