সুন্দর সময় কাটাচ্ছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) তাই এখন অবধি সুখের সংসার সবচেয়ে অভিজ্ঞ এই দলটির। মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ আমির, থিসারা পেরেরা – দেশি কিংবা বিদেশি কোনো রকম অভিজ্ঞতার কমতি নেই দলটির।
তবে, শুধু অভিজ্ঞতাই নয় – তারুণ্য নিয়েও কাজ করছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। এবারের আসর শুরুর আগে পেসার হান্টের আয়োজন করেছিল এই ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। সিলেট আউটার স্টেডিয়ামে দুই দিনব্যাপী আয়োজিত এই ইভেন্টে সেরা নির্বাচিত হয়েছিলেন মোট ১০ পেসার।
তাঁদের ঢাকাতেও নিয়ে এসেছে দলটি। তাঁরা হলেন – মহিউদ্দিন তারেক, মাহফুজ, রাহেল, হাবিবুর রহমান, রাহিন, মোহাম্মদ হাম্মাদ, শহিদুল ইসলাম, নাহিদুর রহমান, শাহান ও রাকিব হোসেন। ঘণ্টা প্রতি ৭৫ মাইল গতি বেঁধে দেওয়া হয়েছিল তাঁদের নির্বাচনে। ফলে, গতি নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। দরকার কেবল পরিচর্যার।
আর সিলেটের ডেরায় বেশ সমাদরও হচ্ছে তাঁদের। স্ট্রাইকার্স দলের সঙ্গে নেটে বোলিং করার, কোচিং প্যানেল এবং দেশ-বিদেশের ক্রিকেটারদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। সিলেট মূলত তাঁদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে চায় তাঁরা। সেখানে তাঁরা মাশরাফি, পেরেরা কিংবা আমিরের হাত ধরে ভবিষ্যতে চলার পথ খুঁজে পাওয়ার মিশনে আছেন।
এর মধ্যেই মিরপুরের একাডেমি মাঠে এই ১০ পেসারের সাথে লম্বা সময় কাটান মোহাম্মদ আমির। পাকিস্তানের এই গ্রেট পেসার তরুণদের ইনসুইং ও আউট সুইংয়ের টিপস দেন। তরুণরা মন্ত্রমুুগ্ধের মত শোনেন তাঁর কথা। সাবেক ফাস্ট বোলার হাসিবুল হোসেন শান্ত এবং তাপস বৈশ্যের সাথে একটি ভার্চুয়াল সেশনে অংশ নেবেন। তাঁদের সাথে কাজ করছেন দলটির পেস বোলিং কোচ সৈয়দ রাসেল। তবে, সব ছাপিয়ে মোহাম্মদ আমিরের টিপস নি:শ্চয়ই তাঁদের জন্য বড় একটা প্রাপ্তিই হল।
শুধু পেসার নয়। একেবারেই নবাগত এক লেগ স্পিনারও আছেন সিলেট দলের সাথে। তিনি মনিরুজ্জামান মাসুম। খেলা ৭১-এর নিয়মিত পাঠক-দর্শকরা অবশ্য তাঁকে আগে থেকেই চেনেন। খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, খোদ মাশরাফি বিন মুর্তজাই লেগ স্পিনার নিয়ে আক্ষেপ করেছিলেন। এগিয়ে আসতে বলেছিলেন তরুণ প্রজন্মকে।
বিপিএলে সেই মাশরাফির দলেই এবার দেখা মিলল নেই মাসুমের। মাসুমও ছিলেন মোহাম্মদ আমিরের ক্লাসে। এই মাসুমের ব্যাপারে সিলেটের ম্যানেজমেন্ট ইতিবাচক আছেন এখন পর্যন্ত। নেটেও প্রায়ই কোচদের মুগ্ধ করে চলেছেন তিনি।