এবারের এশিয়া কাপ হচ্ছে না এটা আগেই নিশ্চিত করেছিল আয়োজক দেশ ক্রিকেট শ্রীলঙ্কা (এসএলসি)। তবে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) পক্ষ থেকে কোন কিছু জানানো হয়েছিল না। অবশেষে এশিয়া কাপ স্থগিতের বিষয়টি আজ নিশ্চিত করেছে এশিয়ান ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসিসি।
এক বিজ্ঞপ্তিতে এসিসি জানিয়েছে দল গুলোর ব্যস্ত সূচির কারণে এই বছর এশিয়া কাপ আয়োজনের কোন উইন্ডো নেই। এই কারণেই এবারের আসর স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসিসি। এসিসির পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়েছে সব কিছু ঠিক থাকলে ২০২২ ও ২০২৩ সালে টানা দুই বছর এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী মাসে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের এই আয়োজন। এশিয়া কাপ বাতিল হওয়ার বিষয়টি গত ১৯ মে নিশ্চিত করেছিলেন এসএলসির প্রধান নির্বাহী অ্যাশলে ডি সিলভা।
তিনি জানিয়েছিলেন ক্রিকেটারদের সুরক্ষার কথা ভেবেই এবারের এশিয়া কাপ আয়োজনের পথ থেকে সরে এসেছে লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড। তিনি আরো জানিয়েছিলেন আগামী দুই বছর প্রতিটা দলের খেলা ঠিক হয়ে থাকার কারণে অচিরেই আর এশিয়া কাপ আয়োজন সম্ভব নয়। ২০২৩ বিশ্বকাপের পরে অনুষ্ঠিত হতে পারে এশিয়া কাপের পরের আসর।
পাকিস্তানের আয়োজনে গত বছর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো এশিয়া কাপ। কিন্তু করোনা মাহামারীর কারণে এশিয়া কাপ স্থগিত করতে বাধ্য হয় এসিসি। এবারের এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল জুন মাসে। তখন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলবে ভারত। ধারণা করা হচ্ছে এই কারণেও বাতিল হয়ে থাকতে পারে এই টুর্নামেন্ট।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতি এহসান মানি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিলেন ভারত ফাইনালে গেলে এশিয়া কাপ হবে না। কারণ ভারত ফাইনালে গেলে স্বাভাবিক ভাবেই ঐ সময় অংশ নিতে পারবে না এশিয়া কাপে। আর ভারত অংশ না নিলে অন্যান্য ক্রিকেট বোর্ড এবং সম্প্রচারকারীদের জন্য সব কিছু সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে।
এহসান মানি তখন বলেন, ‘এশিয়া কাপ গত বছরই হওয়ার কথা ছিল। এখন মনে হচ্ছে এবারো হবে না, কারণ জুনে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল হবে। শ্রীলঙ্কা বলেছিল তারা জুনে এশিয়া কাপ আয়োজনের চেষ্টা করবে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ও এশিয়া কাপের সূচিতে সংঘর্ষ হচ্ছে। আমাদের মনে হচ্ছে এশিয়া কাপ হবে না। হয়ত ২০২৩ সাল পর্যন্ত টুর্নামেন্টটি স্থগিত করতে হবে।’
কিন্তু ভারত টেস্ট চ্যাম্পিয়ানশিপের ফাইনালে ওঠার পর এশিয়া কাপে দ্বিতীয় সারির দল দিতে চেয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত করোনার কারণে বাতিলই হলো এই টুর্নামেন্ট।