৩৬০ ডিগ্রির ইয়াসির রাব্বি

নিজের দিনে রাব্বি জবাব দিতে জানেন। বিপিএলের প্রথম দিনই রিপন মণ্ডলকে পরপর তিন বলে দু’টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকাতে জানেন। জানেন অফ স্পিনার তানভির ইসলামের বিপক্ষে টানা দুই ছক্কা হাঁকাতে। পাকিস্তানের ফাহিম আশরাফকেও তিনি পাড়ার মানে নামাতে জানেন নিজের দিনে।

প্রতিভা বা সামর্থ্য নিয়ে সংশয় নেই। জাতীয় দলে লম্বা সময় সুযোগ পাননি, তারপরও ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বিকে নিয়ে সমালোচনার কোনো অন্ত নেই ঘরোয়া ক্রিকেটে।

এর কারণ কি? তেমন কোনো কারণ নেই। ঘরোয়া ক্রিকেটে রাব্বির তুলনা পাওয়া কঠিন। সব ফরম্যাটেই অসাধারণ পারফর্ম করেন এই ব্যাটসম্যান।

তারপরও একটা বাজে দিন তাঁকে সমালোচনার অন্ধকারে ছুড়ে ফেলে। বডি শেমিং হয়, উপমহাদেশীয় বাস্তবতায় রাব্বি মুখ বুজে সেটা সহ্যও করে যান।

কিন্তু, নিজের দিনে রাব্বি জবাব দিতে জানেন। বিপিএলের প্রথম দিনই রিপন মণ্ডলকে পরপর তিন বলে দু’টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকাতে জানেন। জানেন অফ স্পিনার তানভির ইসলামের বিপক্ষে টানা দুই ছক্কা হাঁকাতে। পাকিস্তানের ফাহিম আশরাফকেও তিনি পাড়ার মানে নামাতে জানেন নিজের দিনে।

শেষ ওভারে আবারও সেই রিপন মণ্ডলকেই টানা দুই ছক্কা আর একটা চার হাঁকালেন। নিজের স্কোর নিয়ে গেলেন ৯৪-এ। ৪৭ বলে ২০০ স্ট্রাইক রেটের ইনিংস। সৌজন্যে আটটি ছক্কা আর সাতটি চার।

জাতীয় দলে পাওয়ার হিটারের জন্য যে  হাহাকার, সেই হাহাকারের সমাধান হতে পারতেন ইয়াসির রাব্বি। দলের সাথে ছিলেন তিনি দীর্ঘদিন। মূলত সাইডবেঞ্চে বসেই দিন পার করেছেন অধিকাংশ সময়। ক্ষণ গুনেছেন একটানা সুযোগ পাওয়ার কিন্তু সেই সুযোগ তিনি কখনোই পাননি।

সেই ২০১৯ সালে প্রথমবারের মত জাতীয় দলের সাথে সংযুক্তি ঘটেছিল রাব্বির। এরপর দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি জাতীয় দলের সাথে। নিজের অভিষেকের অপেক্ষা করেছেন পুরোটা সময় জুড়ে।

এরপর প্রায় তিন বছর বাদে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে নামার সুযোগ পান তিনি। ২০২১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে তার অভিষেক হয়। এর মাস তিনেক পরে ওয়ানডেতে অভিষেক। এর এক মাস বাদে টি-টোয়েন্টি।

দীর্ঘ অপেক্ষার পর পাওয়া সুযোগটা কখনোই দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। প্রায় চার বছর ধরে জাতীয় দলের সঙ্গে থাকা ইয়াসির আলী রাব্বি সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন মাত্র ২৫টি। চলতি বিপিএল দিয়ে এবার সেই আক্ষেপ ঘুচে যাক, এমনটা নিশ্চয়ই রাব্বি নিজেও চাইছেন।

Share via
Copy link