পাকিস্তানের সময়টা মোটেই ভাল যাচ্ছে না। টানা চার পরাজয়ে তাঁরা এখন বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। এই ব্যর্থতা কেবল ক্যাপ্টেন বাবর আজম কিংবা ক্রিকেটারকে সমালোচনার মুখোমুখি করেনি, প্রধান নির্বাচক ইনজামাম উল হককেও নিয়েও নেতিবাচক আলোচনা শুরু হয়েছে।
এমনকি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এই কিংবদন্তি ব্যাটারকে বর্তমান পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার কথাও ভাবছে। তবে সেটি করতে চাইলে পিসিবিকে গুণতে হবে মোটা অংকের টাকা।
কেননা আগেই এমন পরিস্থিতির কথা ভেবে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন ইনজামাম। তাঁর চুক্তির একটি ধারা অনুযায়ী পিসিবি যদি মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাঁকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে ছয় মাসের বেতন অগ্রীম দিতে হবে।
সাবেক এই ক্রিকেটারের বর্তমান মাসিক বেতন প্রায় ২৫ লক্ষ পাকিস্তানি রুপি। অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের আগে তাঁকে বাদ দিতে চাইলে ১ কোটি ৫০ লক্ষ রুপি খসাতে হবে ক্রিকেট বোর্ডকে।
শুধু দলের পারফরম্যান্স নয়, আরো একটি কারণেও ইনজামামের উপর অসন্তোষ রয়েছে। তালহা রেহমানির মালিকানাধীন একটি কোম্পানিতে তাঁর শেয়ার রয়েছে; আর এই কোম্পানি অন্যান্য খেলোয়াড়দের এজেন্ট হিসাবে কাজ করে। এই বিষয়ে তাঁর কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে অবশ্য ব্যতিক্রমী এক ভাবনা উঠে এসেছে পিসিবির সভায়। দল নির্বাচনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। বোর্ডের সদস্য কলিম এ. খান দল নির্বাচনের জন্য ইনজামাম এআই-এর সাহায্য নিয়েছেন কিনা তা জানতে চান।
অন্যদিকে খাজা নাদিম এমন সফটওয়্যারের ব্যবস্থা এবং একটি ডাটাবেজ স্থাপনের পরামর্শ দেন। যদিও প্রধান নির্বাচক মাঠের পারফরম্যান্স এবং আনুষঙ্গিক বিভিন্ন বিষয়ে নির্বাচকমণ্ডলীর ভাবনাকে গুরুত্ব দেয়ার কথা বলেন।