হারতে থাকা পাকিস্তানের বিপক্ষেও হার এড়াতে পারলো না বাংলাদেশ। ক্রিকেট বোর্ডের অস্থিতিশীলতা, স্পিন বিভাগের অফ ফর্ম পাশে সরিয়ে রেখেই টাইগারদের উড়িয়ে দিয়েছে বাবর আজমের দল। ইডেন গার্ডেন্সে সাত উইকেটের বড় জয় পেয়েছে তাঁরা।
টসে জিতে এদিন আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে বরাবরের মত এবারও টপ অর্ডারের দুর্দশা দেখা গিয়েছে। শাহীন শাহ আফ্রিদির প্রথম ওভারেই এলবিডব্লুর ফাঁদে আটকা পড়েন তানজিদ হাসান তামিম। নিজের পরের ওভারে নাজমুল শান্তকেও ফেরান এই পেসার। অন্যদিকে হারিস রউফ তুলে নেন মুশফিকুর রহিমের উইকেট।
পাওয়ার প্লেতে তিন ব্যাটারকে হারিয়ে আরো একবার চাপে পড়ে বাংলাদেশ। যদিও পাঁচ নম্বর উঠে আসা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ভরসা হয়ে উঠেন, লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ৭৯ রানের জুটি। কিন্তু ৪৫ রান করে লিটন আউট হলে ছন্দপতন ঘটে বাংলাদেশের ইনিংসের। রিয়াদও পঞ্চাশ করে লিটনের পথ ধরলে পুরোপুরি পথ হারায় টাইগাররা।
শুরু থেকেই সাকিব আল হাসান ছিলেন নড়বড়ে, যদিও মূল্যবান ৪৩ রান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে; এছাড়া মেহেদি হাসান মিরাজ করেছেন ২৫ রান। এতে ভর করে কোনরকম ২০০ রান পার করতে সক্ষম হয় দলটি; অবশ্য লোয়ার অর্ডার খানিকটা দৃঢ়তা দেখাতে পারলে হয়তো আরো কিছু রান যোগ হতো স্কোরবোর্ডে।
২০৫ রানের মামুলি টার্গেট, চাপ ছাড়াই তাই মাঠে নেমেছিল পাকিস্তানের ওপেনাররা। বোলিং দিয়েও তাঁদের চাপে ফেলতে পারেননি শরিফুল, তাসকিনরা। প্রথম দশ ওভারেই উদ্বোধনী জুটি সংগ্রহ করেন ৫২ রান। এরপর বাউন্ডারিতে ফিল্ডারের সংখ্যা বাড়লেও এই দুই ব্যাটার রান তোলার গতি উল্টো বাড়িয়েছেন সময়ের সাথে সাথে। মাত্র ১৮ ওভারেই দলের রান তিন অঙ্কের ঘরে নিয়ে যান তাঁরা; ততক্ষণে হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন দুজনেই।
যদিও শেষমেশ ৬৮ রান করা আবদুল্লাহ শফিককে আউট করে জুটি ভাঙ্গেন মেহেদি হাসান মিরাজ; বাবর আজমকেও রান করতে দেননি তিনি। তবে ফখর জামান ঠিকই এগিয়ে গিয়েছেন নিজের মত করে; প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৭৪ রানের ৮১ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে জয় নিশ্চিত করেছেন।
রিজওয়ান, ইফতেখারের ৩৬ রানের জুটিতে বাকি আনুষ্ঠানিকতা পেরিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য টপকে যায় পাকিস্তান। এই পরাজয়ে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার স্বপ্নও ফিঁকে হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশের। অলৌকিক কিছু না ঘটলে এই মেগা ইভেন্টে হয়তো দেখা যাবে না লাল-সবুজের জার্সি।