ওয়ানডে বিশ্বকাপ ইতিহাসের ‘২০০’তম সেঞ্চুরিটি এসেছিল তাঁর হাত ধরেই। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলতি বিশ্বকাপেই এ মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার রেসি ফন ডার ডুসেন।
বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজের প্রথম সেঞ্চুরির পর অবশ্য জ্বলে উঠতে পারছিলেন না প্রোটিয়া এ ব্যাটার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬০ রানের একটি ইনিংস বাদে বাকি পাঁচ ম্যাচেই ব্যাট হাতে ঠিক নিজের চিরায়ত ছাপটা দেখাতে পারছিলেন না ডুসেন। তবে ব্যাট হাতে ছন্দচ্যূতির সময়টা বিলম্বিত হতে দিলেন না এ ব্যাটার।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে এসে আবারো পেলেন শতকের ছোঁয়া। আর তাঁর আগ্রাসী শতকেই আবারো রানপাহাড়ে চড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ডান হাতি এ ব্যাটার শেষ পর্যন্ত থেমেছেন ১৩৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে।
অবশ্য নিউজিল্যান্ডকে এ দিন ৩৫৮ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেওয়ার যাত্রায় ডুসেন সঙ্গে পেয়েছিলেন কুইন্টন ডি কককে। শুরুতে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন বাঁহাতি এ ব্যাটারই। ডি ককের ইনিংসে প্রোটিয়াদের বড় রানের ভিত্তিটা আরেকটু বড় করার পথে এগিয়ে দেন ডুসেন। এ দুই ব্যাটারের ২০০ রানের জুটিতেই মূলত চালকের আসনে উঠে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
দলীয় ২৩৮ রানে ডি কক ফিরে গেলে এরপর প্রোটিয়াদের ইনিংস সমুন্নত করার দিকে ছুটেছেন ফন ডার ডুসেন। আর সে যাত্রায় নিজেও পৌঁছে যান সেঞ্চুরির দোরগড়ায়। ১০১ বলে পূরণ করেন ব্যক্তিগত শতক।
শতকের পর ব্যাট হাতে এ দিন আরো আগ্রাসী রূপ ধারণ করেন ডুসেন। নিজের ইনিংসে শেষ ১৭ বলে যোগ করেন আরো ৩৩ রান। এর মধ্যে জিমি নিশাম আর সাউদির দুই ওভারেই ৩ ছক্কা হাঁকান প্রোটিয়া এ ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সাউদির শিকার হয়েই সাজঘরে ফিরেছেন। তবে তার আগে নিজের নামের পাশে ৯ চার ও ৫ ছক্কায় যোগ করেন ১৩৩ রানের ইনিংস।
এ নিয়ে এবারের বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পেলেন ডুসেন। অথচ ২০১৯ বিশ্বকাপটা তিনি কাটিয়েছিলেন শূন্য শতকেই। শেষ বিশ্বকাপে তিক্তস্মৃতি ঝেড়ে এবার প্রোটিয়ারা যেমন দুরন্ত গতিতে ছুটছে, ঠিক তেমনি রেসি ফন ডার ডুসেনও উড়ছেন ব্যাট হাতে সেঞ্চুরির রাজ্যে। স্বদেশি ডি ককে পরেই যে এই বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ২ টা সেঞ্চুরি আছে ডুসেনের।