এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত একমাত্র অপরাজিত দল ভারত। ব্যাটে বলে অনবদ্য পারফর্ম করে সবার আগে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে রোহিত শর্মার দল। তবে পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে নজর কেড়েছে ভারতের পেস বোলিং লাইনআপ।
অন্য দলের পেসারদের যেখানে উইকেট ও রান বাঁচাতে রীতিমত সংগ্রাম করতে হয়েছে, সেখানে বুমরাহ-শামি-সিরাজের বোলিং উত্তাপে নাস্তানাবুদ হচ্ছে বিশ্বকাপের সিংহভাগ দলই। ভারতীয় পেসারদের এমন সফলতার পিছনে যে রয়েছে তাদের দৃঢ়চেতা মানসিকতা ও সিম পজিশন, সেটিই জানিয়েছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম।
‘এ’ স্পোর্টসের এক অনুষ্ঠানে ভারতীয় পেসারদের প্রশংসা করে সাবেক এ পেসার বলেন, ‘একজন পেসারের যেমন আত্মবিশ্বাস থাকা প্রয়োজন, তার পুরোটাই আছে ভারতীয় পেসারদের। আমিই সেরা পেসার – এটি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করলেই অর্ধেক কাজ হয়ে যায়। বাকিটা পরিশ্রম, আর লেগে থাকার মাধ্যমে হয়ে যায়। ভারতীয় পেসাররা এবার সেই শ্রমেরই ফসল পাচ্ছে এবারের বিশ্বকাপে।’
এরপর মোহাম্মদ শামির সিম পজিশনে প্রশংসা করে ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘শামির বোলিং সিমটা দুর্দান্ত। তাঁর বলের সিম সবসময়ই প্রথমে মাটিতে আঘাত করে। যার ফলে ডেলভারিগুলো স্ট্রেইট স্ট্যাম্পমুখো হয়। যেটা সুইং পেতে তাঁকে দারুণ সাহায্য করে।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে বেন স্টোকসকে শূন্যরানে ফিরিয়েছিলেন শামি। শামির সেই ডেলিভারির কথা টেনে ওয়াসিম বলেন, ‘স্টোকস যে বলটায় আউট হয়েছিল, সেটা যেকোনো ব্যাটারের জন্যই খেলা কঠিন ছিল। বলটা একই জায়গা থেকে ইনসুইং, আউট সুইং আদায় করে নিতে সক্ষম ছিল। আর যে কারণে ব্যাটারের বিভ্রান্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক। এমন বল খেলা সত্যিই কঠিন।’
এরপর বুমরাহ ও শামির তুলনা করে ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘বুমরাহ কব্জির জোর দিয়ে বল সুইং করায়, আর শামি সিম দিয়ে সুইং করানোর চেষ্টা। এটাই এ দুই পেসারের মধ্যে পার্থক্য। তবে বুমরাহর অনায়াসেই ১৪২-১৪৫ গতিতে বল করতে পারে। এটা ওর বোলিংয়ে দারুণ সহায়তা করে।’
এবারের বিশ্বকাপে প্রথম ৪ ম্যাচে ভারতের একাদশের বাইরে ছিলেন শামি। হার্দিক পান্ডিয়ার ইনজুরিতে এরপর ফিরেই ৪ ম্যাচে ১৬ টা উইকেট নিয়েছেন এ পেসার। যার মধ্যে ২ বার পেয়েছেন ফাইফারের স্বাদ।
একই সাথে, বিশ্বকাপের উইকেট সংখ্যায় তিনি ছাপিয়ে গিয়েছেন আগের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী জাভাগাল শ্রীনাথ ও জহির খানকেও। ৪৭ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে ভারতীয় বোলার হিসেবে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারের রেকর্ড এখন মোহাম্মদ শামির।