বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অনেক প্রত্যাশা নিয়ে গিয়েছিল ঠিকই কিন্তু সিকিভাগও পূরণ করতে পারেনি। ক্রিকেটের বড় বড় পরাশক্তিকে হারিয়ে সেমিফাইনাল খেলা তো দূরে থাক, নেদারল্যান্ডসের সাথেও জয় পায়নি সাকিব আল হাসানের দল। বলতে গেলে, ২০০৩ সালের পর আরো একবার বৈশ্বিক আসরে বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
এমন ব্যর্থতায় তাই নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তাই তো গুঞ্জন রয়েছে, টিম ম্যানেজম্যান্টে বড়সড় পরিবর্তন আনতে পারে। এরই অংশ হিসেবে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুকে অব্যাহতি দিতে পারে বিসিবি। প্রায় এক যুগের বেশি সময় জাতীয় দলের নির্বাচক হিসেবে কাজ করার পর বাদ পড়ার দ্বারপ্রান্তে এখন তিনি।
নান্নুর পাশাপাশি হাবিবুল বাশার সুমনকেও হয়তো ছাড়তে হবে নির্বাচকের চেয়ার। সেক্ষেত্রে বিকল্প অপশন হিসেবে হান্নান সরকার, হাসিবুল শান্তর মত সাবেক ক্রিকেটাররা বিসিবির ভাবনায় রয়েছেন।
মূলত বর্তমান নির্বাচক প্যানেলের মেয়াদ রয়েছে চলতি বছরের শেষপর্যন্ত। ২০২২ সালের জুনে তাঁদের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়েছিল, কিন্তু গত এক বছর সাফল্য এনে দেয়া তো দূরে থাকা তাঁরা বিতর্কহীন একটা স্কোয়াডও তৈরি করতে পারেননি।
ছোটখাটো সিরিজের কথা বাদই থাকুক; এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের মত বড় দুইটি আসরের দিকে তাকালেই স্পষ্ট হবে হবে সেটা। মহাদেশীয় টুর্নামেন্টে মাহমুদউল্লাহকে না নেয়া, তরুণদের ওপর বাড়তি ভরসা করা; এরপর আবার বিশ্বকাপে তামিম ইকবাল ইস্যু।
সেজন্যই আরো একবার মেয়াদ বাড়ানো হবে সেই সম্ভাবনা কম। তাহলে কি সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে নান্নু-বাশার প্যানেলের নাকি অতীতের মত আস্থা রাখা হবে তাঁদের ওপর? এই মাসেই সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা বিসিবির, নিশ্চিত উত্তর পাওয়ার জন্য আর খানিকটা সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে সমর্থকদের।
অবশ্য দল নির্বাচনের ভূমিকাতে না থাকলেও ক্রিকেট বোর্ডে থেকে দুজনেই থেকে যেতে পারেন। অর্থাৎ নির্বাচক পদ থেকে সরিয়ে তাঁদের দেয়া হতে পারে ভিন্ন কোনো দায়িত্বে।