দারুণ কিছু করার প্রত্যয় নিয়ে ভারতে পা রাখলেও, বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হয়েছে হতাশাকে সঙ্গী করেই। শেষ দিকে প্রাপ্তি বলতে শুধু, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
এ ছাড়া টুর্নামেন্ট জুড়ে ২ জয়ের বিপরীতে ৭ পরাজয়ের তিক্ততার স্বাদ নিতে হয়েছে সাকিব, মুশফিকদের। যদিও হতাশাময় বিশ্বকাপ শেষের পর বড় অঙ্কের অর্থ আয় করেছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের প্রাইজমানি থেকে বাংলাদেশ এবার প্রায় দুই কোটি টাকা পাচ্ছে।
চলতি বিশ্বকাপে মোট ১০ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১১০ কোটি টাকা প্রাইজমানি বরাদ্দ রেখেছে আইসিসি। সেমিফাইনালের আগেই বিদায় নেওয়া প্রতিটি দল পাবে এক লাখ ডলার বা প্রায় এক কোটি ১০ লাখ টাকা। এছাড়া রাউন্ড রবিন লিগে প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য একটি দল ৪০ হাজার ডলার করে পেয়েছে।
৯ ম্যাচের মধ্য দুটি ম্যাচ জেতায় বাংলাদেশ প্রাইজমানি পেয়েছে ৮০ হাজার ডলার । এছাড়া প্রথম রাউন্ডে খেলার জন্য বরাদ্দ মিলিয়ে তাদের প্রাপ্ত অর্থ দাঁড়িয়েছে প্রায় এক লাখ ৮০ হাজার ডলার বা এক কোটি ৯৭ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। যা চলতি বিশ্বকাপে ১০ দলের মধ্যে অর্জিত সর্বনিম্ন প্রাপ্ত অর্থ। বাংলাদেশসহ নেদারল্যান্ডস ও শ্রীলঙ্কাও একই অর্থ আয় করেছে।
প্রসঙ্গত, এবারের বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪০ লাখ ডলার। রানার্সআপ দলের জন্য সেই সংখ্যাটা ২০ লাখ ডলার। এ ছাড়া সেমিফাইনালে পরাজিত দুই দলই সমান অঙ্কের টাকা পাবে। দুই দলকে দেওয়া হবে আট লাখ ডলার করে।