কিউই চাপ উড়িয়ে ফাইনালে ভারত

শেষমেশ প্রতিশোধ নিতে পারলো ভারত; ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হারের যন্ত্রণা চার বছর পর নিউজিল্যান্ডকে ফিরিয়ে দিলো তাঁরা। রান বন্যার ম্যাচে কিউইদের ৭০ রানে হারিয়েছে স্বাগতিক দল।

আগে ব্যাট করতে নেমে বরাবরের মতই রোহিত শর্মা আর শুভমান গিল উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ভারতকে। আট ওভারেই বোর্ডে ৭০ রান তোলেন দুজনে মিলে; যদিও ২৯ বলে ৪৭ রান করা রোহিতকে আউট করে ব্রেক থ্রু এনে দেন টিম সাউদি। তাতে অবশ্য স্বাগতিকদের সমস্যায় পড়তে হয়নি, বিরাট কোহলি আর গিলের ব্যাটে ভর করে তাঁরা ছুটেছে বড় রানের দিকে।

এরই মাঝে ফিফটিও তুলে নেন তরুণ এই ওপেনার, কিন্তু ৭৯ রান করে চোটের কাছে হার মানেন তিনি। এরপর দায়িত্ব নিতে হয় বিরাট-শ্রেয়াসকে; ইনফর্ম এই জুটি সেই দায়িত্ব পালন করেছেন দারুণভাবে। তাঁদের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের কল্যাণে ৪২ ওভারেই দলীয় রান ৩০০ পার হয়; ততক্ষণে রেকর্ড ৫০তম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন কোহলিও। তবে ১১৭ রানের মাথায় তিনি আউট হলে ভাঙে এই জুটি।

উপরের ব্যাটারদের গড়ে দেয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে ঝড় তোলার কাজটা করেছেন আইয়ার, আউট হওয়ার আগে তিনি করেছেন ১০৫ রান। অন্য পাশ থেকে লোকেশ রাহুলও সমানতালে শাসন করেছেন কিউই বোলারদের। তাঁর ২০ বলে ৩৯ রানের ক্যামিওতে ভর করে ৩৯৭ রানের বিশাল পুঁজি পায় স্বাগতিকরা।

বিশাল রানের চাপে পড়েই হয়তো ভাল করতে পারেননি দুই কিউই ব্যাটার রাচিন রবীন্দ্র এবং ডেভন কনওয়ে। মোহাম্মদ শামি দুজনকেই ফিরিয়েছেন, দুজনেই আবার আউট হয়েছেন ১৩ রান করে। ফলে শুরুটা ভাল হয়নি বর্তমান রানার আপদের; তবে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন হাল ছাড়েননি, ড্যারেল মিশেলকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন অসাধ্য সাধনের দিকে।

দুজনের সাবলীল ব্যাটিংয়ে একটা সময়ের জয়ের স্বপ্নও দেখতে শুরু করে নিউজিল্যান্ড। ৮৫ বলে শতক পূর্ণ করা মিশেল তখন দলটির মূল ভরসা, হাফসেঞ্চুরিয়ান উইলিয়ামসনও ছিলেন অবিচল। কিন্তু শামি আবার আক্রমণে আসতেই এলোমেলো হয়ে যায় সবকিছু। এক ওভারেই কিউই ক্যাপ্টেম আর লাথামকে আউট করে ভারতকে আবারও নিয়ন্ত্রণ এনে দেন তিনি।

এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ব্ল্যাকক্যাপসরা। ১৩৪ রানের মাথায় মিশেল আউট হলে জয় নিশ্চিত হয়ে যায় বুমরাহ, কুলদীপদের। বোলারদের মাঝে শামি একাই নিয়েছেন সাত উইকেট, তাতেই ৩২৭ রানে থামে কিউই ইনিংস। বিশ্বকাপের ইতিহাসে তো বটেই ওয়ানডে ইতিহাসেও এর আগে কোনো ভারতীয় বোলার আগে সাত উইকেট পাননি। তাই তিনিই ম্যাচ সেরা। এই নিয়ে চতুর্থবারের মত বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত। বিশ্ব শিরোপা থেকে ভারতের দূরত্ব আর কেবল মাত্র একটা ম্যাচের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link