দুর্দান্ত একটা জয় পেয়েছে ভারত; ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের সেই পরাজয়ের দুঃসহ বেদনা নিউজিল্যান্ডকে ফিরিয়ে দিয়েছে তাঁরা। বহুল আকাঙ্খিত এই জয় পাওয়ার দিনে বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ারদের ছাড়িয়ে নায়ক বনে গিয়েছেন মোহাম্মদ শামি।
গতির ঝড়ে প্রতিপক্ষকে ধ্বসিয়ে দেয়ার পাশাপাশি ভারতের ওয়ানডে ইতিহাসের সেরা বোলিং ফিগারের মালিক বনে গিয়েছেন তিনি। এখন দেখে নেয়া যাক, পঞ্চাশ ওভারের সংস্করণে আকাশী-নীল জার্সিতে কারা এক ইনিংস সবচেয়ে সেরা বোলিং করেছেন।
- মোহাম্মদ শামি (নিউজিল্যান্ড)
৫৭ রানের বিনিময়ে সাত উইকেট, এশিয়ান পরাশক্তিদের উত্থান থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত কোন বোলারই পারেননি সাতটি উইকেট নিতে। অথচ সেমিফাইনালের মত মঞ্চে দুঃসাধ্য কাজটাই সাধন করলেন শামি। একাই কিউই ব্যাটারদের থামিয়ে দিয়েছিলেন তিনি; কনওয়ে, মিশেল কারোই জানা ছিল তাঁকে প্রতিরোধ করার উপায়।
- স্টুয়ার্ট বিনি (বাংলাদেশ)
ভারতকে ১০৫ রানের অলরাউট করে জয়ের স্বপ্নে বিভোর হয়ে থাকা বাংলাদেশকে মনে রাখার মত একটা ম্যাচ উপহার দিয়েছেন বিনি। মাত্র চার রান খরচ করেই সেদিন ৬ জন টাইগার ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়েছিলেন তিনি। এই বিধ্বংসী স্পেলের কল্যাণেই ৫৮ রানে সব কয়টি উইকেট হারিয়ে লজ্জার রেকর্ডের সঙ্গী হয়েছিল বাংলাদেশ।
- অনিল কুম্বলে (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
ক্যারিবীয়দের স্পিন বিষে নীল করে ১৯৯৩ সালে ইতিহাস সেরা বোলিং ফিগার সৃষ্টি করেছিলেন অনীল কুম্বলে। ১২ রানের বদৌলতে ছয়টা উইকেট শিকার করেছিলেন এই কিংবদন্তি। লম্বা সময় ধরে টিম ইন্ডিয়ার সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ড ছিল কুম্বলেই দখলেই। এখনো বোলিং ফিগারের বিবেচনায় সেরা পাঁচে থাকা একমাত্র স্পিনার তিনি।
- জাসপ্রিত বুমরাহ (ইংল্যান্ড)
২০২২ সালে ওভালের মাটিতে আনপ্লেয়েবল হয়ে উঠেছিলেন বুমরাহ। জস বাটলারদের নাভিশ্বাস সৃষ্টি করা সেই দশ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়েছিলেন তিনি; একই সাথে ঝুলিতে পুরেছেন ৬টি উইকেট। সেদিন তাঁর কারণেই অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হয়েছিল স্বাগতিকদের।
- মোহাম্মদ সিরাজ (শ্রীলঙ্কা)
২০২৩ এশিয়া কাপের ফাইনালে অসুর ভর করেছিল সিরাজের ওপর। নতুন বল হাতে তুলে নিতেই গোলা ছুড়তে শুরু করেছিলেন তিনি। তাঁর বোলিংয়ের বিপরীতে ঢাল হয়ে দাঁড়াতেই পারেনি লঙ্কান ব্যাটাররা। ২১ রানে সেদিন ছয় উইকেট নিয়েছিলেন এই পেসার, আর এমন পারফরম্যান্সের বদৌলতে শ্রীলঙ্কা অলআউট হয়ে গিয়েছিল মাত্র ৫০ রানে।