বিশ্বকাপে ব্যর্থতার দায় নিয়ে পাকিস্তানের সব সংস্করণের নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন বাবর আজম। ২০১৯ সালে পাকিস্তানের অধিনায়ক করা হয়েছিল তাঁকে। দীর্ঘ চার বছর নেতৃত্ব দেয়ার পর পদত্যাগ করলেন এই ডান হাতি ব্যাটার। বাবর সরে যাওয়ায় পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়ক হয়েছেন শান মাসুদ। আর টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব গিয়েছে শাহীন শাহ আফ্রিদির কাঁধে।
তবে সদ্য সাবেক হওয়া অধিনায়ককে নতুন অধ্যায়ের জন্য শুভ কামনাই জানিয়েছেন তাঁর সতীর্থরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টুইটারে পাকিস্তানের পেসার নাসিম শাহ লিখেছেন, ‘চার বছরের দুর্দান্ত যাত্রা। আপনার অধীনেই আমার সাদা বলের ক্রিকেট যাত্রা শুরু হয়েছিল। আপনি সব সময় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমাদের বিশ্বাস করতে শিখিয়েছেন, ‘একটি দল , একটি স্বপ্ন’। ব্যাট হাতে আপনার নতুন রেকর্ড ভাঙার গল্পগুলো দেখতে আমরা মুখিয়ে আছি।’
উইকেটরক্ষক ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান লিখেছেন, ‘অবশ্যই তুমি পাকিস্তানের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটার। তোমার সততা, নিষ্ঠা, ভালোবাসা, চিন্তা ও অধিনায়ক হিসেবে পাকিস্তানের জন্য প্রচেষ্টা অবশ্যই প্রশংসনীয়।’
পাকিস্তানের আরেক ক্রিকেটার ইফতিখার আহমেদ বলেছেন, ‘তোমার নেতৃত্বে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করাটা সম্মানের। আমি সেই সময়কালে অনেক উত্থান-পতনের অংশ ছিলাম। কিন্তু তোমার সহনশীলতা ও সংকল্প সব সময় ওপরের দিকে ছিল। পাকিস্তানের হয়ে তোমার ব্যাটে অনেক রান দেখার জন্য মুখিয়ে আছি, সেটা অবশ্যই নন স্ট্রাইকিং প্রান্ত থেকে।’
তবে এত প্রশংসার মাঝেও কিছু সমালোচনার শিকারও হয়েছেন বাবর আজম। যদিও তার সিংহভাগই এসেছে সাবেক ক্রিকেটারদের কাছ থেকে। এই যেমন অধিনায়ক হিসেবে পদত্যাগ করতেই বাবরকে টি-টোয়েন্টি দল থেকেও ছাটাইয়ের দাবি জানিয়েছে এক সময়কার সতীর্থ মোহাম্মদ আমির। তাঁর সাথে সুর মিলিয়েছেন ইমাদ ওয়াসিম।
পাকিস্তানের জিও নিউজের ‘হার না মানা হ্যায়’ নামক এক অনুষ্ঠানে তাঁরা এমন মন্তব্য করেন। সেখানে উপস্থাপকের করা বাবরের তিন সংস্করণের দলে থাকা নিয়ে একটি প্রশ্নের উত্তরে আমির বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে বাবরের জায়গা নেই।’ একই অনুষ্ঠানে ইমাদ ওয়াসিমও বাবরে দলে জায়গা নিয়ে বলেন, ‘সিদ্ধান্তটা কঠিন। তবে আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তাঁর জায়গা নেই।’