দশে দশ – বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ভারতের হোঁচট খাওয়ার কোন উদাহরণ নেই; দশ ম্যাচের সবকয়টিতেই বড় ব্যবধানে জিতে নিয়েছে তাঁরা। ক্রিকেটাররাও তাই প্রশংসা পাচ্ছেন ভক্ত-সমর্থকদের। কিন্তু একটা দলের সাফল্য শুধু ক্রিকেটাররাই আনেন না, এর জন্য পুরো ড্রেসিংরুমকে অবদান রাখতে হয়।
তাই তো বিরাট, রোহিত ছাড়া আর কারা আছেন স্বাগতিকদের সাফল্যের নেপথ্যে সেটা খুঁজে নিয়ে ধন্যবাদ দিতেই হয়। প্রথমেই কোচদের দিয়ে শুরু করা যাক।
রাহুল দ্রাবিড় যখন দায়িত্ব নিয়েছিলেন ভারতীয় দলের তখন থেকেই ফলাফলের চেয়ে পারফরম্যান্সকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। তাঁর কাজের ধরন বুঝে, খেলোয়াড়দের বুঝে এমন কয়েকজন মানুষকে নিয়ে তিনি এরপর তৈরি করেছেন কোচিং প্যানেল। সেসময় ব্যাটিং বিভাগের জন্য বিক্রম রাথোর, বোলারদের জন্য পরশ মামব্রে আর টি দিলিপকে ফিল্ডারদের দেখাশোনা করার জন্য নিয়োগ দেয়া হয়।
এখানে আসার আগে তাঁরা ভারত এ দল, যুব দলের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। তাই তো সহজেই ক্রিকেটারদের মানসিকতা বুঝে তাঁদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে পেরেছিলেন; যা খেলোয়াড়দের দারুণভাবে সাহায্য করেছে।
ভারতের ট্রেইনিং অ্যাসিস্ট্যান্ট রয়েছেন তিনজন – রাঘাবিন্দ্র দেগী, নুয়ান উদেনাকা এবং দায়ান্দা ঘরানি। এদের মধ্যে সবচেয়ে অভিজ্ঞ রাঘাবিন্দ্র, দলের সঙ্গে রয়েছেন প্রায় এক যুগ। ধোনি, শচীনদের প্রশংসাও কুড়িয়েছেন তিনি। আবার কোহলি মনে করেন গত এক দশকে পেসারদের বিপক্ষে ব্যাটারদের যে পারফরম্যান্স সেটার কারণ এই ভদ্রলোক।
এই তারকা ব্যাটার বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ২০১৩ সাল থেকে ফাস্ট বোলিংয়ের বিরুদ্ধে আমরা যে উন্নতি দেখিয়েছে তা রাঘুর কারণে। ফুটওয়ার্ক, ব্যাট মুভমেন্ট সম্পর্কে তাঁর ভালো ধারণা রয়েছে। সে তাঁর দক্ষতা এতটাই উন্নত করেছে যে সাইডআর্ম দিয়ে ঘণ্টায় ১৫৫ কিমি বেগে বল ছুঁড়তে পারে।’
তিনি আরো যোগ করেন, ‘তিনজনই আমাদের জন্য বিশ্বমানের অনুশীলনের ব্যবস্থা করে। অত্যন্ত দ্রুতগতির বোলিংয়ে তাঁরা আমাদের নেটে চ্যালেঞ্জ করে; সবসময় আউট করার চেষ্টা করে। আমার জন্য এটা বলতে গেলে ক্যারিয়ারে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। এই ধরনের অনুশীলন শুরু করার আগে আমি যেখানে ছিলাম আর আজ আমি যেখানে আছি দুইটার পার্থক্য অনেক।’
এরা ছাড়াও স্ট্রেন্থ এবং কন্ডিশনিং কোচ সোহাম দেশাই, রজনীকান্ত; এনালিস্ট হরিপ্রসাদ মোহান, ডাক্তার রিজওয়ান সহ সাপোর্ট স্টাফ সবাইকেই কৃতজ্ঞতা জানাতে হয় নিজ নিজ দায়িত্ব সুন্দরভাবে পালন করার জন্য।