শচীন টেন্ডুলকার আর শুভমান গিলের যোগসূত্রটা ঠিক কোথায়? একজন কিংবদন্তি ব্যাটার, অন্যজন তাঁরই পদাঙ্ক অনুসরণ করে যোগ্য উত্তরসূরি হওয়ার প্রচেষ্টায় এগিয়ে যাচ্ছেন। আরেকটা যোগসূত্র অবশ্য এখন পর্যন্ত ধোঁয়াশাতেই আটকে আছে। শচীনকন্যার সাথে গিলের সম্পর্ক নিয়ে কম কানাঘুষা হচ্ছে না। সব মিলিয়ে গিলের মাঝে শচীনের সাদৃশ্যতা খোঁজাটাও যেন ক্রিকেট পাড়ায় নতুন এক চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আহমেদাবাদের বিশ্বকাপ ফাইনালেও ঠিক এমন এক সাদৃশ্যতার দেখা মিলল। শচীন তাঁর ক্যারিয়ারের প্রথম বিশ্বকাপ ফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া। শুভমান গিলও সেই ফাইনাল খেলছেন অজিদের বিপক্ষে। ২০ বছরের ব্যবধানে আবার যখন অজি-ভারত মহারণ যখন ফাইনালের মঞ্চে, তখন শচীনের মতোই ভারতের হয়ে ইনিংস শুরু করলেন গিল।
তবে এমন সাদৃশ্যতার মাঝে তেমন কোনো ‘কাকতালীয়’ ব্যাপার লুকিয়ে নেই। শচীন-গিলের এই দুই ফাইনালের সাদৃশ্যতার মাঝে মূল কাকতালীয় ব্যাপার হচ্ছে, ২০ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই ফাইনালে শচীন যেমন ৪ রানে ফিরেছিলেন, ২০২৩-এ এসে এবার সেই ৪ রান রানেই ফিরেছেন শুভমান গিল। মজার ব্যাপার হলো, দুজনের আউট হওয়ার ধরনটাও আবার প্রায় এক।
২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৬০ রানের লক্ষ্যে প্রথম ওভারেই গ্লেন ম্যাকগ্রার বলে পুল করতে গিয়ে ম্যাকগ্রার হাতেই ধরা দিয়েছিলেন শচীন। আর এবার প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে দলীয় ৩০ রানে মিশেল স্টার্কের বলে অ্যাডাম জাম্পাকে ক্যাচ দেন শুভমান গিল। শর্ট লেন্থের বলে বুঝে উঠতে না পেরে ভুল শট খেলে মিডঅনে ধরা পড়ে ৪ রানে ফিরে যান তিনি।
২০০৩ বিশ্বকাপের সে ফাইনাল হেরে রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল শচীন টেন্ডুলকার। শুভমান গিল নিশ্চয় সাদৃশ্যতার চক্রে পড়ে এমন পুনরাবৃত্তি চাইবেন না।