বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে নানা নাটকীয়তায় ছেয়ে যায় বাংলাদেশের ক্রিকেট। ধারাবাহিক সেই নাটকীয়তার একটা অংশে যুক্ত ছিলেন নাফিস ইকবালও। হুট করেই বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে দলের ম্যানেজারের পদচ্যুতি ঘটে তার। খানিকটা অভিমান নিয়েই তিনি ছেড়েছিলেন বাংলাদেশ দলের ড্রেসিং রুম।
তার পেশাদারিত্ব নিয়েও উঠেছিল প্রশ্ন। কেননা নিউজিল্যান্ডের সাথে ম্যাচ চলমান অবস্থায় তিনি দলকে ছেড়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন বলেই শোনা গেছে সর্বত্র। সেই সব নাটকীয়তার সমাপ্তিতে বাংলাদেশ দল দেশে ফিরেছে শূন্যহাতে।
দল সংশ্লিষ্ট সবাইকেই নতুন করে ভাবতে হচ্ছে তাকে। বেশ খানিকটা রদবদল আসার ইঙ্গিতও মিলেছে। একঝাক কোচিং স্টাফের বিদায় ঘন্টা বেজে গেছে। তবে এসবের মাঝে পুরনো পদে নতুন করে বহাল হচ্ছে নাফিস ইকবাল। মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে টেস্ট দলের খেলোয়াড়রা নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছেন।
বিশ্বকাপ খেলে আসা শরিফুল ইসলাম কিংবা ঘরের মাঠে অপেক্ষমান থাকা তাইজুল ইসলাম, সবার মনোযোগ এখন আসন্ন নিউজিল্যান্ড টেস্ট সিরিজ। তাইতো সবাই একাডেমি মাঠে নিজ নিজ স্কিল ঝালিয়ে নিচ্ছেন। সেই প্রস্তুতিতেই উপস্থিত নাফিস ইকবাল।
তিনি বেশ লম্বা সময় ব্যয় করেছেন শরিফুল, তাইজুল, মুশফিক হাসানদের সাথে। হাসি ঠাট্টায় মেতে উঠেছেন শরিফুল, মুমিনুলদের সাথে। আড্ডা জমিয়েছেন খেলোয়াড়দের বিশ্রামের ফাঁকে। বেশ হাস্যজ্জ্বল এক সময়ই পার করেছেন তিনি জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের সাথে।
যেন তিনি চাইলেন ক্রিকেট পাড়ার পরিবেশে থাকা গুমোট হাওয়াকে একটু হালকা করতে। সে প্রচেষ্টায় তিনি খেলোয়াড়দের সাথে খুটিনাটি বিষয় নিয়েও আলাপ করেছেন। তরুণ মুশফিক হাসানকে তো রীতিমত একটা কিছুর সমাধান বলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
তাতে অন্তত নিশ্চিত হওয়া যায়, পুরনো পদেই ফিরছেন নাফিস ইকবাল। আসন্ন নিউজিল্যান্ড সিরিজে ম্যানেজারের ভূমিকাতেই থাকছেন নাফিস ইকবাল। ঠিক সে কারণেও হয়ত তিনি খেলোয়াড়দের সাথে তার সম্পর্ক ঝালিয়ে নিতে চাইছেন।
আখেরে দল হিসেবে পারফরম করতে গেলে মাঠের পারফরমেন্সের সাথে সাথে মাঠের বাইরের ফ্যাক্টর ও মানুষগুলোর অবদানও প্রয়োজন। নাফিস ইকবাল নিজের কাজটা জানেন বলেই হয়ত সকল গ্লানি পেছনে ফেলে নব উদ্দ্যমে ফিরছেন জাতীয় দলের সাথে।