বিশ্বকাপের পরেই অধিনায়কত্বের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাবর আজ়ম। অবশ্য বিশ্বকাপ চলাকালীনই বাবরের নেতৃত্ব নিয়ে যেভাবে পাকিস্তান জুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছিল, তাতে একটা পূর্বাভাস আগেই পাওয়া গিয়েছিল যে, তাঁকে হয়তো অধিনায়কের পদে আর দেখা যাবে না।
এমন সম্ভাব্যতায় পাকিস্তানে ফিরেই অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ান বাবর আজম। তাঁর জায়গায় টেস্ট দলের নেতৃত্ব পেয়েছেন শান মাসুদ। আর টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেওয়া হয় শাহীন শাহ আফ্রিদিকে।
তবে পাকিস্তানের এমন অধিনায়ক পরিবর্তনের ব্যাপারটি মোটেই ভালভাবে নেননি সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ইয়ান চ্যাপেল। তাঁর মতে, এটাই পাকিস্তানের চিরায়ত স্বভাব। তাঁরা অধিনায়কের উপরে আস্থা রাখতে পারে না। তাই যে কোনো ফরম্যাটে এক নির্দিষ্ট সময় পর আর সফলতাঁর মুখ দেখতে পারে না।
এ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অজি এ কিংবদন্তি বলেন, ‘পাকিস্তান আগেও এমন ছিল। এখনও এরকমই আছে। অধিনায়কের পদ নিয়ে ওরা মিউজিক্যাল চেয়ার খেলে। আজ এক জন অধিনায়ক। ব্যর্থ হলেই তাঁকে সরিয়ে কাল অন্য এক জনকে রাখা হয়। এ ভাবেই চলে আসছে।’
বাবরের প্রশংসা করে চ্যাপেল আরো বলেন, ‘বাবর অসাধারণ ক্রিকেটার। আমার দেখা অন্যতম সেরা পাকিস্তানি ব্যাটার। বাবর নিশ্চিতভাবেই অনেক বছর এমন দাপটের সাথে খেলে যাবে। তবে এ বার নতুন অধিনায়কের সঙ্গে ওকে মানিয়ে নিতে হবে। দলকেও নতুন ভাবে মানিয়ে নিতে হবে সেই অধিনায়কের সঙ্গে। নতুন অধিনায়ক হিসেবে যে আসছে, সে বাবরের চেয়ে ভাল, সেটা কি নিশ্চিত ভাবে কেউ বলতে পারবে? কেউই পারবে না। আর পাকিস্তান এটাই করে সব সময়। কোনো অধিনায়কের উপরেই ওদের আস্থা বেশি দিন থাকে না।’
চলতি বছরের ডিসেম্বরেই ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য অস্ট্রেলিয়া সফরে যাচ্ছে পাকিস্তান। এ সিরিজে পাকিস্তান খুব একটা ভাল করতে পারবে না মন্তব্য করে চ্যাপেল বলেন, ‘পাকিস্তান দলে কয়েক জন ভাল পেসার রয়েছে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় ওদের রেকর্ড ভাল না। ওরা সফল হতে পারেনি। আমাদের দেশের বাউন্সের সঙ্গে ওরা মানিয়ে নিতে পারে না।’