দিপুকে সৌরভ ছড়ানোর বার্তা

১০২ নম্বর টেস্ট ক্যাপ উঠে গেল তার মাথায়। তরুণ তুর্কি শাহাদাতের হাতে গাঢ় সবুজ রাঙা ক্যাপখানা তুলে দিলেন মুমিনুল হক সৌরভ। যেন বলে দিলেন এবার তোমার সৌরভ ছড়াবার পালা। বাকি পথটুকুতে হতে হবে ধৈর্য্যশীল। দেখাতে হবে ব্যাট হাতে মুন্সিয়ানা।

শাহাদাত হোসেন দিপু, বাংলাদেশ ক্রিকেটে নামটা বেশ কয়েক বছর ধরেই হচ্ছিল উচ্চারিত। সবার অপেক্ষা ছিল তাকে ঘিরে। অন্ততপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পরবর্তী আস্থার স্তম্ভ হতে পারবেন তিনি। নিজের ক্যারিয়ারের পথচলার শুরুর দিকে সেই প্রত্যাশাই বরং দেখিয়েছেন তিনি।

স্কুল ক্রিকেট থেকে এক একটি সিঁড়ি পেরিয়ে আজ তিনি জাতীয় দলে। ঘটা করে অভিষেকটা হলো তার টেস্ট ক্রিকেটে। মর্যাদার সাদা পোশাক গায়ে জড়াবার সুযোগটা এলো তার অবশেষে। সবুজে ঘেরা সিলেট স্টেডিয়ামের নীলাভ আকাশের নিচে এক ফালি হাসিতেই শুরু দিপুর টেস্ট যাত্রা।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আট ব্যাটার নিয়ে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ দল। স্পিনিং উইকেটে ব্যাটারদের টিকে থাকা হতে পারে দুষ্কর। সেই ভাবনা থেকেই দলে অতিরিক্ত একজন ব্যাটারকে দেওয়া হয়েছে জায়গা। সেই ভাবনা থেকেই অভিষেকটা হয়ে গেল দিপুর। এর আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে স্কোয়াডে ডাক এসেছিল তার। তবে অভিষেকটা সিলেটে হবে বলেই মিরপুরে তিনি ছিলেন ডাগআউটে।

ডানহাতি এই ব্যাটার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য। সেই দলের প্রতিটা খেলোয়াড়ই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের ছাপ ফেলার চেষ্টায় মগ্ন। নতুন করে সেই তালিকায় যুক্ত হলেন দিপু। বাংলাদেশের মিডল অর্ডারের আস্থা হতে তিনি পারবেন কিনা সেটা হয়ত সময়ই বলে দেব।

তবে প্রত্যাশা নেহায়েত কম নয়। তাকে ঘিরে আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে বসেছেন অনেকেই। সেখানেই বরং আরও এক সমস্যার জন্ম হতে পারে। ভীষণ রকম প্রত্যাশার চাপে হয়ত নুইয়ে পড়তে পারেন দিপু। সেটাই বরং তার জন্যে চ্যালেঞ্জ। চাপ সামলে নিজের স্বরুপের চিত্রায়নই যে করতে হবে তাকে বাইশ গজে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link