এশিয়া কাপ ২০২৩, ছয় দলের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টের স্বাগতিক দেশ কিন্তু পাকিস্তান। আদতে, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা দুই দেশেই খেলা হলেও মহাদেশীয় এই আসর পাকিস্তানে হওয়ার কথা ছিল। তবে ভারত সেখানে যেতে না চাওয়ায় রূপরেখা পরিবর্তন করে লঙ্কানদের স্বাগতিক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
সেজন্য ভারত ছাড়া বাকি সব দলেরই পাকিস্তান থেকে শ্রীলঙ্কা কিংবা শ্রীলঙ্কা থেকে পাকিস্তান ভ্রমণ করতে হয়েছে একাধিকবার। বাবর আজমের দল প্রথম ম্যাচ খেলেছে মুলতানে আর দ্বিতীয় ম্যাচ পাল্লেকেলেতে; আবার পরের ম্যাচ ছিল লাহোরে। প্রায় একই ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশ সহ বাকি দলগুলোর সঙ্গেও। স্বাভাবিকভাবে এতে যাতায়াত খরচ বেড়ে গিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি)।
তাই তো পাকিস্তান এখন চার্টার্ড ফ্লাইট সংক্রান্ত খরচের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে। কর্তৃপক্ষ বলছে যে, পাকিস্তানে সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি)। সেজন্য অতিরিক্ত খরচও তাঁদের বহন করতে হবে।
শ্রীলঙ্কার কোম্পানি ক্লাসিক ট্রাভেলের মাধ্যমে বিমানের ফ্লাইট বুক করা হয়েছিল। তাঁরা চারটি চার্টার্ড ফ্লাইটের জন্য সবমিলিয়ে ২,৮১,৭০০ ডলার চার্জ করেছিল এবং সমস্ত অর্থ অগ্রিম দিতে হয়েছিল। এছাড়া আয়োজক হিসেবে শ্রীলঙ্কাকে ২০,৬৯,৮৮৫ ডলার প্রদান করতে হয়েছিল পিসিবিকে।
এসব কারণে অনুমানের চেয়ে বাড়তি অর্থ ব্যয় হয়েছে। আর সেটা এসিসিকে দিতে হবে এমনটাই দাবি পাকিস্তানের ক্রিকেট কর্তাদের। পরবর্তী সভায় এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
যদিও এসিসি এত সহজে ছাড়বার পাত্র নয়। প্রাথমিক সময়সূচী অনুসারে, পাকিস্তানে হওয়া ম্যাচগুলো শুধুমাত্র লাহোরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পিসিবি মুলতানকে সূচিতে যোগ করে এবং সেখানে উদ্বোধনী ম্যাচের আয়োজন করে। এটাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে অতিরিক্ত খরচের দায় এড়িয়ে যেতে চাচ্ছে মহাদেশীয় ক্রিকেট সংস্থাটি।