টানা দশ ম্যাচ জিতলেও বিশ্বকাপ মিশন সফল হয়নি ভারতের। কেননা ফাইনাল ম্যাচটাই সুন্দরভাবে শেষ করতে পারেনি তাঁরা, শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছে ছয় উইকেটে। শিরোপার কাছ এসেও হাতছাড়া করার বেদনায় সেদিন নীল হয়েছিল পুরো ভারতবাসী; ক্রিকেটাররা কেউইও সহজে মেনে নিতে পারেননি এই ব্যর্থতা।
তবে এটা নিয়ে পড়ে থাকলে তো হবে না, নতুন করে শুরু করতে হবে সবকিছু। নতুন পরিকল্পনার ক্ষেত্রে টিম ইন্ডিয়ার প্রথম লক্ষ্য ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কিন্তু এই বিশ্বকাপকে ঘিরে কিভাবে দল সাজাবে সেটা নিয়ে দ্বিধায় রয়েছে টিম ম্যানেজম্যান্ট। অভিজ্ঞ রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের নিয়ে আরেকবার বিশ্ব মঞ্চে খেলবে নাকি ভরসা করবে তরুণদের ওপর?
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ দিয়ে অবশ্য সেই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে রোহিতের সঙ্গে একাধিকবার কথা হয়েছে নির্বাচকদের; ওয়ানডে ফরম্যাট নিয়ে সরাসরি কিছু না বললেও, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দলের বাইরে থাকাটা স্বাভাবিক ভাবেই গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন এই ব্যাটার।
যদিও তাঁকে আরো কিছুটা সময়ের জন্য প্রয়োজন ভারতের, নির্বাচকরাও তাই খুশি হবেন যদি বর্তমান অধিনায়ক অন্তত এক বছরের জন্য তাঁর টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত করার সিদ্ধান্ত নেন। অর্থাৎ ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পযন্ত তাঁকে নেতৃত্বের আসনে দেখতে চান তাঁরা।
২০২২ সালের বিশ্বকাপে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন হিটম্যান। আনুষ্ঠানিক অধিনায়ক হওয়া সত্ত্বেও এরপর থেকেই আর এই সংস্করণে মাঠে নামেননি তিনি। তাঁর পরিবর্তে অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়ার অধীনে খেলেছেন জয়সওয়াল, কৃষ্ণারা; গড়ে উঠেছে তরুণ একটা ইউনিট।
সবকিছু ঠিক থাকলে হয়তো হার্দিককেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অধিনায়ক করতো টিম ইন্ডিয়া, কিন্তু ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইনজুরিতে পড়েন তিনি। তাতেই দুশ্চিন্তায় পড়তে হয়েছে নীতিনির্ধারকদের। সেজন্যই রোহিতকে হাতছাড়া করতে আগ্রহী নন তাঁরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে অবশ্য সাদা বলে খেলবেন না রোহিত শর্মা আর বিরাট কোহলি। তাই রঙিন পোশাকে তাঁদের ভবিষ্যৎ পুরোপুরি জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরো কিছুটা সময়।