২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আর এই ফরম্যাটে ভারতের জার্সি গায়ে দেখা যায়নি বিরাট কোহলিকে। ২ বছর পর আবারো যখন আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দ্বারপ্রান্তে, তখন একটা প্রশ্নই ঘুরে ফিরে আসছে- বিরাট কোহলিকে কি পরের বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেখা যাবে? এ নিয়ে নির্বাচক, অধিনায়ক ও বোর্ড কর্তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়ায় আছেন।
কিছু দিন আগেই ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বোর্ড কর্তা এবং নির্বাচক প্যানেল। ৫ ঘন্টাব্যাপী সেই বৈঠকে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে একটি রোডম্যাপ উপস্থাপন করা হয়।
যেখানে সবাই রোহিতকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে সবাই দেখতে চেয়েছেন। তবে এই ফরম্যাটে কোহলির ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনও সন্দিহান তাঁরা। জানা গেছে, আগামী কিছু দিনের মধ্যেই এটি নিয়ে কোহলির সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন বোর্ড কর্তারা।
তবে নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র জানাচ্ছে, এরই মধ্যে বিরাটের বিকল্প হিসেবে নাম্বার তিনে ঈশান কিষাণকে প্রথম পছন্দ নির্বাচকদের। মূলত তাঁকেই ভবিষ্যৎ নাম্বার থ্রি হিসেবে এই ফরম্যাটে বিবেচনা করা হচ্ছে। বিশ্বকাপের আগে ৬ টা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পাবে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে নেই কোহলি। তাই নিজেকে প্রমাণ করা একটা সুযোগ পাচ্ছেন তরুণ এ ব্যাটার।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটা এখনও কোহলির দখলে। তবে এই সময়ে এসে এ ব্যাটার লাল বলের ক্রিকেটেই বেশি ফোকাস করতে চাচ্ছেন। এ কারণে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে গত বেশ কিছু বছর ধরেই বেছে বেছে খেলছেন এ ব্যাটার।
জানা গেছে, কোহলি যদি ভবিষ্যতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট না খেলতে চান, তাতে আপত্তি করবে না বোর্ড। বরং নির্বাচকদের ইঙ্গিতে যা মিলছে, তাতে কোহলিকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় বাইরেই রাখা হচ্ছে। আসন্ন আইপিএলে পারফর্ম না করতে পারলে হয়তো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বিবেচনায় নাও থাকতে পারেন কোহলি।
অবশ্য বোর্ডের সাথে কোহলির পরবর্তী বৈঠকেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। ক্যারিয়ারে পাঁচ বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেললেও এখনও এ শিরোপা জেতা হয়নি কোহলির। শেষ পর্যন্ত, ২০২৪ বিশ্বকাপ না খেললে, এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপ না পাওয়ার আক্ষেপেই বিদায় নিতে হবে কোহলিকে। এখন দেখার পালা, কোহলি শেষ পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত নেন।