দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতে জিততে পারেনি ভারত। তবে দল হারলেও জোড়া কীর্তি গড়েছেন সুরিয়াকুমার যাদব। একটি, অধিনায়ক হিসেবে ছাপিয়ে গেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। অন্যটি ২০০০ রানের মাইলফলক ছোঁয়ার দৌড়ে ছুঁয়েছেন বিরাট কোহলির রেকর্ডকে।
ডারবানে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৬ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সুরিয়াকুমার যাদব। আর এই ফিফটিতেই প্রথম ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তাদের বিরুদ্ধে অর্ধশতক হাঁকানোর রেকর্ড গড়েছেন তিনি।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে অধিনায়ক হিসেবে সব থেকে বেশি রান ছিল ধোনির। যদিও তিনি অর্ধশতরান করতে পারেননি। আর এখানেই ধোনিকে ছাপিয়ে গিয়েছেন সুরিয়া।
একই সঙ্গে, তিনি ছুঁয়েছেন বিরাট কোহলির কীর্তিকেও। ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে সব থেকে কম ৫৬ ম্যাচে টি-টোয়েন্টিতে ২০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন বিরাট। বিরাটের মতো ৫৬তম ইনিংসেই ২০০০ রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন সুরিয়াকুমার যাদবও। এই ম্যাচের আগে ৫৫টি ইনিংসে সুরিয়ার রান ছিল ১৯৮৫। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৫৬ রানের ইনিংস খেলে বিরাটকে ছুঁয়ে ফেলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম ২০০০ রানের রেকর্ড রয়েছে দুই পাকিস্তানি ব্যাটারের দখলে। বাবর আজম ও মোহম্মদ রিজওয়ান — দু’জনই ৫২ ইনিংসে ২০০০ রানের মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন।
এখানেই শেষ নয়। ৫৬ রানের ইনিংসের মাধ্যমে এ নিয়ে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৪র্থ হাফসেঞ্চুরির মুখ দেখলেন সুরিয়াকুমার যাদব। আর এখানেই তিনি ছাপিয়ে গিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার, জনি বেয়ারস্টো ও মোহাম্মদ রিজওয়ানকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪ হাফসেঞ্চুরি করতে ওয়ার্নার যেখানে ১৫ ইনিংস নিয়েছেন, ১৩ ইনিংসে চার অর্ধশতক করেছেন বেয়ারস্টো, মোহাম্মদ রিজওয়ান করেছেন ১১ ইনিংসে, সেখানে মাত্র ৫ ইনিংসেই ৪ হাফসেঞ্চুরি করলেন সুরিয়া।