প্রোটিয়া দূর্গে দৌর্দণ্ড্য প্রতাপে সিরিজে সমতা ভারতের

দ্বিতীয় ম্যাচে হেরে পিছিয়ে পড়েছিল ভারত, সমতায় ফিরতে তাই দারুণ কিছু করতেই হতো তাঁদের। সেটা করার দায়িত্বটা নিজের কাঁধে নিলেন অধিনায়ক সুরিয়াকুমার যাদব, খেললেন অতিমানবীয় এক ইনিংসে। তাঁর সেঞ্চুরির কল্যাণেই স্বাগতিকদের পরাজয়ের স্বাদ দিতে পারলো টিম ইন্ডিয়া।

আগে ব্যাট করতে নামা ভারতের টপ অর্ডারকে শুরুতেই নাড়িয়ে দেন স্পিনার কেশভ মহারাজ। তাঁর ঘূর্ণিতে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন শুভমান গিল, তিলক ভার্মা তো রানের খাতাই খুলতে পারেননি। ২৯ রানে দুই উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় পৌঁছে যাওয়া দলকে টেনে তোলেন সুরিয়াকুমার, ওপেনার যশস্বী জসওয়ালকে সঙ্গে নিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেন তিনি।

দুজনের ১১২ রানের জুটিতে ভারত শুধু ম্যাচেই ফেরে নি, বরং বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে গিয়েছিল। যদিও ৬০ রান করা জসওয়াল আউট হতেই ধ্বস নামে ব্যাটিং লাইনআপে। ইনফর্ম রিংকু সিং, জীতেশ শর্মা কিংবা রবীন্দ্র জাদেজা কেউই পারেননি বলার মত কিছু করতে। একপ্রান্তে যখন সতীর্থরা আসা যাওয়ায় ব্যস্ত, আরেকপ্রান্তে সুরিয়া তখন ঝড় তুলেছিলেন।

বিশতম ওভার পর্যন্ত ক্রিজে থেকে ক্যারিয়ারে চতুর্থ টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। সাত চার আর আটটি বিশাল ছয়ে সাজানো এই ইনিংসে ভর করেই ২০১ রান জমা হয় টিম ইন্ডিয়ার স্কোরবোর্ডে।

বড় রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা অবশ্য প্রথমেই ভড়কে যায় অনেকখানি। মোহাম্মদ সিরাজের প্রথম ওভারে কোন রানই নিতে পারেনি দলটির ওপেনাররা। সেই চাপে পড়েই আগে ব্রিটজকে এবং পরে রেজা হেন্ড্রিকস আউট হন এক অঙ্কের ঘরে। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে হেনরিখ ক্ল্যাসেনের উইকেট তুলে নিয়ে আবারো উদযাপনের উপলক্ষ এনে দেন আর্শ্বদীপ সিং।

অধিনায়ক এইডেন মার্করাম চেষ্টা করেছিলেন বটে, কিন্তু তাঁর ১৪ বলে ২৫ রানের ইনিংস তেমন কোন প্রভাব রাখতে পারেনি। এরপর ডেভিড মিলার ছাড়া আর কেউই বড় রান করতে পারেননি। কুলদীপ যাদবের সাঁড়াশী আক্রমণে এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল দলটির মিডল অর্ডার। এই লেগ স্পিনার একাই নিয়েছেন পাঁচ পাঁচটি উইকেট।

তাই তো মিলারের ৩৫ রানের ইনিংসও লজ্জা থেকে বাঁচাতে পারেনি প্রোটিয়াদের। ১৩.৫ ওভারে স্রেফ ৯৫ রানেই গুটিয়ে গিয়েছে তাঁরা, আর এর মধ্য দিয়ে ১০৬ রানের বিশাল পরাজয়ের লজ্জা পেলো মার্করামের দল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link