ডানেডিনে শীতের সঙ্গে ঠাণ্ডা বাতাস পেসারদের জন্য ছিল আদর্শ। বাড়তি পেস মুভমেন্টের আশায় তাই অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্তও নিয়ে নেন। অধিনায়কের এমন সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমাণ করতে ভুল করেননি পেসার শরিফুল ইসলাম। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে কিউইদের ইনিংসের শুরুর ওভারেই জোড়া আঘাত হানেন এই পেসার।
আর শরিফুলের শুরুর এমন বোলিং তাণ্ডবেই দুরন্ত সূচনা পায় বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মুখোমুখি যা কখনোই হয়নি, সেটিই করে দেখিয়েছেন বাঁহাতি এ পেসার। এর আগে ১৬ বারের দেখায় কখনোই টাইগারদের বিপক্ষে ৫ রানে ২ উইকেট হারায়নি নিউজিল্যান্ড। কিউই কন্ডিশনে বরাবরই বাংলাদেশের অসহায়ত্বের দু:স্মৃতি মুছে ফেলতেই যেন এ দিন আগ্রাসী বোলিং শুরু করেছিলেন শরিফুল ইসলাম।
অবশ্য ইনিংসের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই উইল ইয়াংয়ের কাছে চার হজম করে শুরু করেছিলেন তিনি। তবে ফিরে আসতে সময় নেননি। অফ স্ট্যাম্পের লাইন ধরে চতুর্থ বলটা কিছুটা আউটসুইং করার চেষ্টা করেছিলেন শরিফুল। আর তাতেই পরাস্ত হন বিশ্বকাপ মাতানো রাচিন রবীন্দ্র। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান এ ওপেনার।
এক বল বাদে আবারো একই চিত্র। এবার শরিফুলের শিকার হেনরি নিকোলস। প্রথম ওভারের শেষ বলটা কিছুটা খাটো লেন্থে করেছিলেন শরিফুল। তবে বাড়তি বাউন্সে সামনে খেলতে গিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনেন নিকোলস। ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ চলে যায় দ্বিতীয় স্লিপে। সেখানে থাকা এনামুল হক বিজয়ও সুযোগটা লুফে নিতে ভুল করেননি। চার দিয়ে করা শুরুর ওভারের শেষটা হয় জোড়া উইকেটে।
কিউদের মাটি তো বটেই, নিউজিল্যান্ডকে এমন শুরুতে আচমকা ধাক্কা বাংলাদেশ দিতে পারেনি কখনোই। যদিও সাময়িক সে বিপর্যয় সামলে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস এরপর এগিয়েছে সাবলীল গতিতেই। অধিনায়ক টম ল্যাথাম আর উইল ইয়াং এরপর মনোযোগ দিয়েছেন ইনিংস মেরামতের কাজে। তাদের অবিচ্ছিন্ন জুটিতেই বড় স্কোর গড়ে নিউজিল্যান্ড দল।