পাঞ্জাব ছেড়ে গুজরাটে শাহরুখ খান! এমন শিরোনামযোগে কিছুটা ভড়কে যেতেই পারেন। শাহরুখ খান নামে গোটা ভারত তো ওই বলিউড সুপারস্টারকেই চেনে এবং জানে। তবে প্রায় ১৩০ কোটির দেশ থেকে এই নামেই এক ক্রিকেটার লাইমলাইটে এসেছিলেন বছর দুয়েক আগের এক আইপিএল নিলামে। সেবার ৯ কোটি রুপিতে তামিলনাডুর শাহরুখ খানকে দলে ভিড়িয়েছিল পাঞ্জাব কিংস। ব্যাস এরপর থেকেই ক্রিকেটার শাহরুখ খানকে চিনতে শুরু করে ভারত।
মারকুটে ব্যাটিং। এর পাশাপাশি স্পিন বোলিং। গত ২ আসরে পাঞ্জাবের হয়ে ৩৩ টা ম্যাচ খেলা শাহরুখ কয়েকটা ম্যাচে দারুণ পারফর্মও করেছিলেন। তবে তাঁকে নিয়ে সিংহভাগ মানুষের আগ্রহটা ছিল মূলত নামের কারণেই। ২০২৪ আইপিএলের জন্য পাঞ্জাব তাঁকে ছেড়ে দেওয়ায় এবারের নিলামে নাম উঠেছিল শাহরুখের নাম। আর সেই নিলামে বেশ চড়া দামেই বিক্রি হয়েছেন এ অলরাউন্ডার। ভিত্তিমূল্য ৪০ লাখ রুপি হলেও শেষ পর্যন্ত দর কষাকষি করে ৭.৪ কোটিতে তাঁকে দলে ভিড়িয়েছে গুজরাট টাইটান্স।
মূলত হার্দিক পান্ডিয়া গুজরাট ছেড়ে মুম্বাইয়ে যোগ দেওয়ার কারণেই একজন অলরাউন্ডারের শূন্যস্থান পূরণে শাহরুখকে দলভূক্ত করেছে দলটি। আইপিএলে শাহরুখ অবশ্য পিঞ্চ হিটার হিসেবেই পরিচিত। তবে ২০২৩ তামিলনাডু প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী বোলার হন তিনি। আর এতেই অলরাউন্ডার শাহরুখকে নিয়ে এবারের আইপিএল নিলামে একাধিক দলের মধ্যে রীতিমতো কাড়াকাড়ি হয়েছে।
গুজরাট শিবিরে নাম লেখাতে পেরে নিজেও খুশি শাহরুখ। তবে তিনি উচ্ছ্বসিত সতীর্থ হিসেবে ডেভিড মিলারকে পাওয়ায়। আইপিএলে দল পাওয়ার পরই নিজের অনুভূতি প্রকার করে শাহরুখ বলেন, ‘গুজরাট যেভাবে খেলোয়াড়দের নিয়ে ভাবে, তাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবো। আমি ৬ বা ৭-এ খেলব। আর আমি মিলারের অনেক বড় ফ্যান। সে যেভাবে চাপের মুখে দক্ষিণ আফ্রিকার আর গুজরাটের হয়ে ব্যাট করে, তা এক কথায় দুর্দান্ত। আমিও তাঁর মতো দলে অবদান রাখতে চাই।’
সবশেষ আসরে ঠিক সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি শাহরুখ খান। এক বছরে ব্যবধানে ঠিক কোন জায়গাটায় উন্নতি ঘটালেন, তা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ১৪০ কিলোমিটার গতির বল খেলতে অনভ্যস্ত ছিলাম। আমাকে বেশ বেগ পোহাতে হতো। তবে আমি এবার এই জায়গাটায় উন্নতি ঘটানোর জন্য বেশ শ্রম দিয়েছি। একই সাথে, আমি লেগ স্পিন বলও অনেক প্র্যাকটিস করেছি।’
এরপর নিজের ব্যাটিং নিয়ে এ ক্রিকেটার বলেন, ‘দীনেশ কার্তিক সর্বপ্রথম আমাকে তামিলনাডু প্রিমিয়ার লিগে ফিনিশার হিসেবে খেলতে বলেছিল। সে আমাকে প্রায়ই বলতো, ফিনিশারদের নিজের কোনো রান থাকে না। তাঁরা দলের জন্য খেলে। আমার মনে হয় ব্যাটিংয়ে আমি পাঁচ অথবা ছয় নম্বরে ভাল করবো। টিএনপিএল আর সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে আমি এই অর্ডারেই খেলেছি। তবে আমি যেকোনো ভূমিকায় খেলতে রাজি।’