সাঞ্জুর ঘুরে দাঁড়ানোর এটাই তো সময়

ই প্রতিভা আর সম্ভাবনা নিয়ে ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছিলেন সাঞ্জু স্যামসন, সেটির সিকিভাগও মাঠে প্রমাণ করতে পারেননি তিনি। বারবার ব্যর্থ হয়েছেন – কখনো নিজের ভুলে কখনো আবার ভাগ্যের পরিনাসে, তবে দীর্ঘ প্রতিজ্ঞা শেষে ভাগ্য বিধাতা মুখ তুলে চেয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেছেন এই ব্যাটার।

এখন পর্যন্ত ৪০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা স্যামসন এর আগে কখনোই সন্তুষ্ট করতে পারেননি ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের। যদিও তাঁর ভক্ত-সমর্থকদের দাবি, কখনোই এক টানা সুযোগ দেয়া হয়নি তাঁকে; আবার নিন্দুকের মতে, তিনি কখনোই ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করতেই পারেননি।

এই উইকেটকিপারের পরিসংখ্যান অবশ্য দুই পক্ষের কথাকেই সত্যি হিসেবে সাক্ষ্য দেয়। আট বছরে ৪০ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা মোটেই সংখ্যায় বেশি নয়৷ অন্যদিকে টি-টোয়েন্টিতে ১৯ গড়ে ব্যাটিং করা কাউকে সেরা বলার সুযোগও নেই, অথচ ২১ ইনিংসের মধ্যে ১৬বারই টপ অর্ডারে ব্যাট করেছেন তিনি।

কিন্তু, ওয়ানডে ফরম্যাটে স্যামসন চাইলে নিয়মিত সুযোগ দাবি করতেই পারেন। কেননা সেঞ্চুরির আগেও পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচে তাঁর ব্যাটিং গড় ছিল ৫০ ছুঁই ছুঁই, যা এখন ৫৬.৬৬ এ গিয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এই সংস্করণে ভারতীয় দল বেশ প্রতিষ্ঠিত, তাই নিয়মিত একাদশে থাকাটা আপাতত প্রায় অসম্ভব। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে শতকও এই পরিস্থিতি সম্ভবত বদলাতে পারবে না।

তবে একটা লাভ অন্তত হয়েছে, নির্বাচকদের নজর নিজের উপর থেকে সরতে দেননি রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক। রিংকু সিং, যশস্বী জসওয়ালদের উত্থানের মাঝে হারিয়ে যেতে যেতেও টিকে রইলেন তিনি; অন্তত আরো কয়েকটা ম্যাচে নিজেকে প্রমাণের সুযোগ পাওয়ার নিশ্চয়তা পেলেন।

প্রথম শ্রেণিতে বারো মৌসুম খেলেছেন, সাঞ্জু স্যামসনকে এখন আর তরুণ বলা যায় না। তবু তাঁর সময় ফুরিয়ে যায়নি, টিম ইন্ডিয়াকে দেয়ার মত অনেক কিছু আছে। আর সেটা করতে হলে শতক উদযাপনের আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গী করে এখন ঘুরে দাঁড়াতেই হবে তাঁকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link