ইনিংসের শুরুতেই শেখ মেহেদী হাসানের হাতে বল। নাজমুল হোসেন শান্তর ভরসার প্রতীক হয়ে উৎরে গেলেন মেহেদী। শুরুর ওভারেই আঘাত হানেন মেহেদী। ডানহাতের ঘূর্ণি জাদুর শুরু তিনি করেন নেপিয়ারে। তার শুরুটাই পুরো ইনিংস জুড়ে টেনে নিয়ে গেলেন বাংলাদেশের বোলাররা।
নেপিয়ারে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত। এই পিচেই তো পেসাররা ওয়ানডে সিরিজে শেষ ম্যাচে করেছেন তাণ্ডব। এমন এক উইকেটে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত যথার্থই। তবে অধিনায়ক নিউজিল্যান্ডকে ভরকে দিতে স্পিনারকে দিয়েই শুরু করালেন বোলিং ইনিংস।
সফলতাও আসতে সময় লাগেনি। শুরুর ওভারে মেহেদী আঘাত হানেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং দূর্গে। শর্টার লেন্থের বলটা সোজা গিয়ে আঘাত করে অফ স্ট্যাম্পে। টিম সাইফার্ট বল বুঝতেই যেন পারেননি। সেই ওভারে মাত্র এক রান খরচ করেন মেহেদী।
সেই চাপের সুযোগটা পুরোপুরি লুফে নেন বাঁ-হাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। দ্বিতীয় ওভারে এসেই পরপর দুই বলে ফেরান ফিন অ্যালেনকে। এরপর গ্লেন ফিলিপসও বলর গতিপথ বুঝতে পরাস্ত হন। তাতে রিভিউ নিয়ে তৃতীয় উইকেট প্রাপ্তির উদযাপন করে বাংলাদেশ।
দারুণ লাইন আর লেন্থে চাপে রেখেছিলেন মেহেদী। সে কারণেই শুরুর দশ ওভারের মাঝেই তার কোটার বোলিং শেষ করে ফেলেন অধিনায়ক শান্ত। তাতে অবশ্য নিদারুণ এক চাপে ফেলা গেছে নিউজিল্যান্ডকে। কেননা মেহেদী তো ছিলেন হাড়কিপটে। রান দেওয়ার মত বাজে বল করেছেন খুব অল্পই। নিজের কোটার চার ওভার শেষে ১৪ রান দিয়েছেন মেহেদী।
পথিমধ্যে উইকেট তুলে নিয়েছেন আরও একটি। খাদের কিনারা থেকে নিউজিল্যান্ডকে উঠিয়ে আনার প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলেন ড্যারিল মিশেল। হাত খুলে ব্যাটিং করতে শুরুই করেছিলেন মিশেল। ঠিক তখনই আবার আঘাত হানেন মেহেদী। এবারও বোল্ড করেন মিশেলকে।
দারুণ এক ফ্লাইটেড ডেলিভারি। মিশেল তাতে টার্ন আশা করেছিলেন। খেলেছিলেন হাওয়ায় ভাসিয়ে স্ট্রেইট ড্রাইভ খেলার প্রস্তুতিও সেরে ফেলেন। কিন্তু সেই বল করেনি টার্ন। আরও একবার অফ স্ট্যাম্পে লেগে উদযাপনের কারণ সৃষ্টি হয়।
তাতে করে চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যায় নিউজিল্যান্ডের। ২০ রানের মাথায় নিউজিল্যান্ড হারিয়ে ফেলে নিজেদের চার উইকেট। নেপিয়ারে বারংবার ব্ল্যাক্যাপসদের দুশ্চিন্তার কারণ হচ্ছেন বাংলাদেশের বোলাররা। তাতে করে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে একের পর এক খরা কাটতে শুরু করেছে।