দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। সিরিজ সেরা সাকিব আল হাসানের সাথে বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুস্তাফিজুর রহমান। বোলারদের র্যাংকিংয়ে উন্নতি হয়েছে তিন জনেরই। র্যাংকিংয়ে এগিয়েছেন সাকিব আর প্রথম বারের মতো শীর্ষ দশে জায়গা পেয়েছেন মিরাজ। মুস্তাফিজ আবারো সেরা দশে হারানো জায়গা ফিরে পেয়েছেন, তিনি আছে আটে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ও বিস্ময়কর উন্নতি হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের। বাংলাদেশী এই বোলার র্যাংকিংয়ের ৪ নম্বরে চলে এসেছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়ে র্যাংকিংয়ে ৯ ধাপ এগিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সিরিজ শুরুর আগে ১৩ নাম্বারে থাকা মিরাজ ক্যারিয়ার সেরা ৬৯৪ রেটিং নিয়ে চারে অবস্থান করছেন এখন। তিনে থাকা বুমরার রেটিং ৭০০ এবং দ্বিতীয় স্থানে থাকা আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমানের রেটিং ৭০৮। ৭২২ রেটিং নিয়ে শীর্ষে রয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট।
আইসিসির এক বছরের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর আগের রেটিং ফিরে পেয়ে সাকিবের অবস্থান ছিলো ২৮ নাম্বারে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচে ৬ উইকেট শিকার করে র্যাংকিংয়ে সবচেয়ে বড় লাফ দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। ১৫ ধাপ এগিয়ে সাকিবের অবস্থান এখন ১৩ নম্বরে। এর আগে ২০০৯ সালে ক্যারিয়ার সেরা ৭১৭ রেটিং নিয়ে বোলিং র্যাংকিংয়ে শীর্ষে উঠেছিলেন সাকিব।
শুধু মিরাজ ও সাকিবই নয়; বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে মুস্তাফিজুর রহমানেরও। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ৬ উইকেট নিয়ে ১১ ধাপ এগিয়েছেন এই পেসার। ৬৫৮ পয়েন্ট নিয়ে মুস্তাফিজুর রহমানের অবস্থান এখন আট নাম্বারে। মোস্তাফিজের ক্যারিয়ার সেরা রেটিং ৬৯৫।
এই তিন জন ছাড়া র্যাংকিংয়ের শীর্ষ বিশে নেই আর কোন বাংলাদেশি বোলার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের শেষ ম্যাচে তিন উইকেট নিয়ে তিন ধাপ এগিয়ে মোহাম্মাদ সাইফউদ্দিনের অবস্থান ৪৩ নাম্বারে। ৪৯১ পয়েন্ট নিয়ে ৪৫ নাম্বারে আছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। মাশরাফির ক্যারিয়ার সেরা রেটিং ৬৫৩।
আইসিসি ওয়ানডে বোলার র্যাংকিংয়ের শীর্ষ ১০
- ট্রেন্ট বোল্ট (নিউজিল্যান্ড): ৭২২ রেটিং পয়েন্ট
- মুজিব উর রহমান (আফগানিস্তান): ৭০৮ রেটিং পয়েন্ট
- জাসপ্রিত বুমরাহ (ভারত): ৭০০ রেটিং পয়েন্ট
- মেহেদী হাসান মিরাজ (বাংলাদেশ): ৬৯৪ রেটিং পয়েন্ট
- ক্রিস ওকস (ইংল্যান্ড): ৬৭৫ রেটিং পয়েন্ট
- ক্যাগিসো রাবাদা (দক্ষিণ আফ্রিকা): ৬৬৫ রেটিং পয়েন্ট
- জশ হ্যাজলউড (অস্ট্রেলিয়া): ৬৬০ রেটিং পয়েন্ট
- মুস্তাফিজুর রহমান (বাংলাদেশ): ৬৫৮ রেটিং পয়েন্ট
- মোহাম্মদ আমির (পাকিস্তান): ৬৪৮ রেটিং পয়েন্ট
- প্যাট কামিন্স (অস্ট্রেলিয়া): ৬৪৬ রেটিং পয়েন্ট