একটা সময় আব্দুর রাজ্জাক, সাকিব আল হাসানের সাথে তাল মিলিয়ে বাঁ-হাতের স্পিনে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) মাতিয়েছিলেন তিনি; অথচ সময়ের ব্যবধানে এবার দল পাওয়া হয়নি তাঁর।
দল পাবেনই বা কিভাবে, স্রষ্টার ডাকে সাড়া দিয়ে বছর দুয়েক আগেই তো পরপারে পাড়ি দিয়েছিলেন এই ক্রিকেটার – আপনি নিশ্চয়ই বুঝে গিয়েছেন মোশাররফ হোসেন রুবেলের কথা বলা হয়েছে এতক্ষণ।
বিপিএলের প্রথম আসরে ঢাকা গ্লাডিয়ের্টসের হয়ে খেলেছিলেন মোশাররফ। মাশরাফি বিন মুর্তজার অধীনে সেবার টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছিলেন তিনি; পরের বছরও একই চিত্রের পুনরাবৃত্তি ঘটেছিল।
পরপর দুইবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পিছনে তাঁর অবদান নেহাৎ কম নয়, দলের মূল স্পিনারদের একজন হিসেবেই আসর জুড়ে পারফর্ম করে গিয়েছেন এই বাঁ-হাতি। বিপিএল-২০১৩ এর ম্যান অব দ্য ফাইনালও হয়েছিলেন তিনি।
২০১৮/১৯ মৌসুমে আবারো বাজিমাত করেন এই স্পিনার। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের জার্সি গায়ে জেতেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় বিপিএল। সব মিলিয়ে দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসরে দারুণ সফল তিনি।
এই টুর্নামেন্টে ৪৭ ম্যাচে ৪৮ উইকেট নিয়েছেন রুবেল, বোলিং গড় বিশেরও কম আর ওভার প্রতি খরচ করেছেন ৬.৩৭ রান। যা কি না বিপিএলে বাংলাদেশিদের মাঝে সবচেয়ে কিপ্টে বোলিংয়ের রেকর্ড। কখনো ফাইফার না পেলেও দুইবার চার উইকেট পেয়েছেন এক ইনিংসে।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ঘরোয়া অঙ্গনের অন্যতম সেরা পারফর্মার হওয়া সত্ত্বেও এই বোলার কখনোই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলার স্বাদ পাননি। আবার অন্য সংস্করণেও প্রায় একই চিত্র, টেস্টে অভিষেক হয়নি তাঁর; ওয়ানডেতে খেলেছেন মোটে পাঁচ ম্যাচ।
অবশ্য এসব আক্ষেপ করে লাভ কি আর। মোশাররফ রুবেল এখন আর মাঠে ফিরতে পারবেন না। তাঁর পরিসংখ্যানে কখনোই পরিবর্তন আসবে না। তবু ক্রিকেট সমর্থকেরা তাঁকে মনে রাখবে বিপিএলের অন্যতম সেরা হিসেবে, মনে রাখবে মাঠ ও মাঠের বাইরে তাঁর লড়াইয়ের জন্য।